Tag: কবিতা

  • প্রিয় দিদি

    প্রিয় দিদি

    প্রিয় দিদি,,❤️
    জানিনা কেমন আছো তুমি!
    জানো তোমাকে খুব করে মনে পড়ে
    যখনি মন খারাপ হয় তখনি
    আমার মন খারাপের সময়টা তে তোমাকেই সব চেয়ে বেশি কাছে পেয়েছি।

    দিদি,.,
    তুমি জানো
    তুমি চলে যাওয়ার পর তোমার মতো করে কেউ আমার ভালোবাসে নি
    কেউ আমাকে বুবু বলে একটা ডাক দেয় নি
    আজ প্রায় ১ বছর হলো তোমাকে হারিয়েছি
    তুমি থাকলে না জানি কতো হাজার ডাকে আমায় ডাকতে তুমি

    দিদি,.,
    তুমি না আমাকে সেলাই মেশিন কিনে দিতে চেয়ে ছিলে
    নিজের জামা নিজে বানাবো এটা ভেবে আফসোস করতাম বলে
    জানো তো,আমি আমার স্বপ্নের সেই সেলাই মেশিন টা কিনেছি।
    তুমিও বলতে আমাকে নামাজের হিজাব বানিয়ে দিও বুবু
    এভাবেই দুজন কতই না গল্প করতাম,,,
    কিন্তু আমার আশাটাও আর পুর্ন হলো না,,.
    তোমাকে হিজাব টা আর বানিয়ে দিতে পারলাম না
    আরও বলতে,.,আমার বিয়েতে তুমি নাচবে
    বাড়ি আলো করে আলোক সজ্জা করবে,,.
    কতই না মধুর মধুর স্বপ্ন আশা ছিলো তোমার আমাকে ঘিরে
    তাহলে কেনো চলে গেলে স্বপ্ন গুলো অপুর্ন রেখে
    এভাবে হঠ্যাৎ তোমার বুবুটা কে একা করে!
    ভাবতেও পারিনা।

    যখনি তোমার শাড়ী, ওর্না গুলো চোখের সামনে পড়ে
    খুবি খারাপ লাগে জানো তো
    তোমার চুড়ি গুলো আমি সযত্নে তুলে রেখেছি
    মাঝে মাঝে বের করে দেখি,,,
    রাতে যখন ঘুম ভেঙ্গে যায় মনে হয় তুমি জিজ্ঞেস করছো.,,
    বুবু পানি খাবা?

    জানো,
    আমি এখনো আগের মতই আছি
    রোজ রাতে উঠে পানি খাই কিন্তু শুধুই তুমি নাই।

    দিদি তুমি জানো,.,
    তোমার আর দাদুভাইয়ের কবরের মাঝখানে একটা গোলাপ চারা লাগিয়েছি,,.
    ফুল আসার অপেক্ষায় আছি
    এটাই কেনো জানি মনে হয়—
    ফুল আসলে বুঝবো তুমি আর দাদুভাই ভালো আছো

    বুকটা ফেটে যায় দিদি,,,
    এভাবেই একদিন একদিন করে সব প্রিয় মুখ হারিয়ে ফেলবো
    আল্লাহ তোমাকে ওপারে ভালো রাখুক

  • আড়ালে ভালোবাসা

    আড়ালে ভালোবাসা

    প্রিয়তা তোমার মাঝে
    নেই তো কোনো জড়তা
    যেটুকু আছে সবটুকুই সরলতা…

    সরলতা ফুটিয়ে তুলতেই
    তোমার যতো রকম কথা…

    অজান্তেই হেসে উঠো
    আমার কথা শুনে,,
    তাই তো তোমায় নিয়ে
    পাশের বাড়ির ছেলেটি
    গোপনে স্বপ্ন বুনে…

    হাসি তো নয় যেন মুক্ত ঝড়ে
    ভেতরে কাল বৈশাখী ঝর উঠে…

    আড়ালে দাড়িয়ে তোমায় দেখে
    আপন মনে রঙ মাখিয়ে
    আশা নিয়ে বাঁচতে শিখে…
    কেনো এত মায়া তোমার মাঝে
    কেনো তার মনে
    এত স্বপ্ন সাজাও
    সকাল সাঁঝে…

    আশা গুলো গমরে মরে
    ভেতর টা কে ঝাজরা করে
    কবে পাবে আপন করে
    এই কথা ভেবে মরে…
    হয়তো পাবো
    হয়তো পাবো না
    এই ভাবনায় দিন কাটে না…
    কেনো… জন্ম থেকেই আমার হলে না।

  • তুমিময় আমি

    তুমিময় আমি

    আমি এক তুমিতে আসক্ত
    যে তুমিটা আমাকে তুমিময় করে তুলেছে।
    প্রতিটা মূহুর্ত,প্রতিটা ক্ষনে, তুমি নামক জীবন্তের
    স্মরণে,অনুভবের চাঁদরে।

    এ কেমন তুমি?
    যে তুমিতে আমি অদৃশ্য, যে তুমিতে
    আমার অস্তিত্বের অবকাশ নেই।
    এই তুমি স্বার্থের কাতারের তুমি নও তো?

    নাহ!!!!এ তুমি তে আমি স্থান করে নিবো আমার।
    যে তুমিটার অস্তিত্ব মুছে ফেলা যাবে না,,
    জীবনের পথ জুড়ে তোমারি ছাঁয়ায়
    নিজেক বার বার খুঁজে পাবো,,

    প্রেম অনন্তের শেষটায় অমর করে রাখবো
    মন পবনের গহিনে,,
    শত ব্যথা মুছে,কল্পনার সাগরে ভেসে
    বাস্তবতার শিকর আঁকরে তোমায়
    নিয়ে বাঁচার স্বপ্নটা আমায় নতুনত্বে
    ছোঁয়ায় জাগ্রত করে রাখবে,,,

  • একটু ভালোবাসা

    একটু ভালোবাসা

    মন খারাপের সময়টায় বড্ড
    বেশি তোমার পাশে বসতে ইচ্ছে হয়,
    আজও তার ব্যতিক্রম নয়।
    পাশে বসার অনুমতি প্রকাশের আগেই
    ধপ করে বসে পড়া।

    বই থেকে চোখ সরিয়ে আর-চোখে
    আমায় একটু দেখে নিলো।
    চশমা টা ঠিক করতে করতে,
    কি হয়েছে?

    গাল ফুলিয়ে ভারি কন্ঠে,,
    কি আবার হবে কিছুনা।
    এমনি একটু কান্না করতে আসলাম।
    অবাক চাহুনির দৃষ্টি রেখে
    এবার চশমা টা নামিয়েই নিলো।

    হঠাৎ কান্নার কথা শুনে উনি বোধহয়
    একটু বেশি অবাক হয়েছে।
    কখনো কি কেউ কারন ছাড়া
    কান্না করে এটা ভেবে।কিন্তু কোনো
    কারন তো খুঁজে পাচ্ছে না।

    মনে মনে বহু চেষ্টার পর
    প্রশ্ন ছুড়ে দিলো,কান্নার কারন টা
    কি জানতে পারি কান্দুরি?
    (বেশি কান্নার ফলে ভালোবাসার
    এক কান্নার অমরত্ব লাভের নাম কান্দুরী)

    কিন্তু কোনো উত্তর দিতে পারলাম না।
    নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না
    গলা জড়িয়ে তার বুক ভাসিয়ে দিলাম।
    অজানা ব্যথায় ব্যথিত মানুষ কে
    জড়িয়ে যখন সেও কষ্ট পায়

    আর সহ্যের ক্ষমতা থাকে না।
    ভেজা চোখ জোড়ার ল্যাপ্টানো কাজলের
    দৃষ্টিতে তাকে বুঝানো,তাকেই হারানোর
    ভয়ে আমি ব্যথিত।ঠিক বুঝে উঠার আগেই
    মিষ্টি হাসিতে উত্তরে, হারাবো না
    কথার মাঝে নতুন করে বিশ্বাস খুঁজে পাই।

    জীবনের প্রতিটা দিনই যেন
    তার একটি কথার জন্য সুন্দর হয়ে উঠে।
    তোমার স্মৃতিতে জড়ানো,রঙিন,সুন্দর কথা
    গুলো আমাকে আরও কাছে টানে।
    আজীবন এভাবেই সুখে,দুঃখে
    পাশে থেকো,,,,,,,,,,,,,,,,।

  • তোমার জন্যে মন পুড়ে যায়

    তোমার জন্যে মন পুড়ে যায়

    তোমার জন্যে দিন বা রাতে যায় পুড়ে যায় মন
    তোমার জন্যে একটা আকাশ কাঁদছে সারাক্ষণ

    তোমার জন্যে বুকের ভিতর কাল-বোশেখির ঝড়
    তোমার জন্যে আকাশ জুড়ে মেঘের কড়াৎকড়

    তোমার জন্যে উঠোন জুড়ে বাদলা ঝরা দিন
    তোমার জন্যে পুষে রাখি অনেক ব্যথার ঋণ

    তোমার জন্যে নিয়ম করে পাপড়ি ছুঁয়েছে জল
    তোমার জন্যে দুচোখ জুড়ে অশ্রু টলমল

    তোমার জন্যে ভাল্লাগেনা উদাস লাগে খুব
    তোমার জন্যে খোলা জানলায় দাঁড়িয়ে থাকি চুপ

    তোমার জন্যে কৃষ্ণচূড়ার ডালে রক্ত-রঙিন ফুল
    তোমার জন্যে এলোমেলো হই সব হয়ে যায় ভুল

    তোমার জন্যে বুকের ভিতর হঠাৎই খাঁখাঁ রোদ্দুর
    তোমার জন্যে জমিয়ে রেখেছি নোনতা সমুদ্দুর

    তোমার জন্যে আজকে আমি আহত এক পাখি
    তোমার জন্যে এখনও বুকে স্বপ্ন-ছবি আঁকি

    তোমার জন্যে গাল ফুলিয়ে মিছেই অভিমান
    তোমার জন্যে খসড়া খাতায় বিষাদ লেখা গান

    তোমার জন্যে রোজ সকালে শিশির জমে ঘাসে
    তোমার জন্যে হাজার স্মৃতির স্বপ্ন চোখে ভাসে

    তোমার জন্যে আনমনা হই উদাস হেঁটে চলা
    তোমার জন্যে একলা একাই ভীষণ কথা বলা

    তোমার জন্যে মাঝে মাঝেই ঘুম আসেনা রাতে
    তোমার জন্যে একটা মন খুব লুকিয়ে কাঁদে

    এম.জে.জান্নাতী
    ১১/৫/২২

    সেদিন দুপুর বেলা, বাইরে ঝুম বৃষ্টি, কবিতার চরিত্রটি কাল্পনিক,মন খারাপ আর নিছক ছেলেমানুষী থেকেই লেখা, কেমন হয়েছে জানিনা,লেখালেখিতে আমি অপরিপক্ক, কাঁচা হাতেই লেখা।

  • পঞ্চায়েত

    পঞ্চায়েত

    রুটিটা ছেঁকে দাওনা গো।
    আজকে একটু আরাম করে খেতে মন চাইছে।
    জানি, লাখ টাকার আয় তোমার,
    অবসর পাওনা সহজে,
    “নীরবালার” আয়টুকু উপহাসের বিষয় ছিল,
    ছেড়েই দিলাম চাকরিটা।
    সংসার ঠেলতে ঠেলতে সংসারের চাবিটা কবে যে ভারী হয়ে গেছে-
    টেরই পেলাম না!
    বড্ড পা ব্যাথা করছে আজ,
    দাও না গো রুটিটা ছেঁকে।
    তোমাদের অনেক অনেক অবহেলার মাঝে সামান্য সেবাটুকু পেলে
    তুষ্টি মেলে কিছুটা।
    আমাদের সময় কাটে কীভাবে জানতে চেয়েছো কোনোদিন?
    লাখ টাকার গহনায় সুখ কেনা যায়না রে মানিক।
    সঙ্গমের নেশাটুকু কেটে গেলেই তো ছুড়ে ফেলো বেশ্যাদের কাতারে।
    একি! শুয়ে পড়লে যে?
    ক্ষিদে নেই বুঝি?
    এমনি করে ছোট ছোট চাওয়াগুলো পদদিলত হয় প্রতিদিনে,
    নীরবালার দীর্ঘশ্বাসে ভারি হয়ে উঠছিল ছেকা রুটি।
    হায়রে সংসার! স্বস্তি দিয়েছো, দুকূল ছাপানো সুখ পেলামনা।
    বোঝনা কেন? কেউ কেউ তো চায় আমাদের সঙ্গ,
    ভালোবাসায় ভরে তুলতে চায় নীরবালাদের নিঃসঙ্গতাকে,
    যেদিন পাশের বাড়ির ছেলেটির হাত ধরে উড়াল দিবো
    জানি, একরাশ অপবাদ সাজিয়ে বসে রইবে পঞ্চায়েতে।

  • একটা নীল রঙের ডায়েরি

    একটা নীল রঙের ডায়েরি

    একটা নীল রঙের ডায়েরি তোমার লিখা, দিয়েছিলে আমাকে
    সেদিন আকাশ ছিল বেদনা রং নীল

    এতোদিনে ডায়েরির পাতাগুলো অনেকটাই ভঙ্গুর হয়ে গেছে
    অনেকগুলো জায়গা ঝাপসা
    একটু কস্ট করে পড়তে হয়
    মাঝের কিছু পাতা বিবর্ণ হয়ে গেছে
    শব্দগুলো একেবারেই ঘোলাটে দেখি
    এতো যত্নে রাখার পরেও।

    কিছু কথা পাঠোদ্ধার করতে পারিনা
    ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে প্রতি মোহনীয় পূর্ণিমার জোৎস্নার ঝরঝরে আলোয় দেখি
    চেষ্টা করে পড়ার চেস্টা করি।

    বারবার ছুঁতে ইচ্ছে করে তোমার হাতের লিখার স্পর্শ নিপাট ভালোবাসায় জড়ানো

    একদিন নদী হয়ে গেলে, ভেসে গেলে, অচেনা হলে
    আজও তোমায় আকাশ ডাকি, ডাকি নদী
    অথচ তুমি আর আমি একসঙ্গে হেঁটেছি একই মৃত্তিকায় সমান্তরালে
    আমাদের পদচিহ্ন এখনো আছে মৃত্তিকার চুম্বনে
    কোন এক শ্রাবণের বাতাসে, কদমের ঘ্রাণে
    তোমার শরীরের ঘ্রাণ মিশে আছে আজও।

    তোমার নীল ডায়েরির শেষপৃষ্ঠা এখনও স্পষ্ট
    কি সুন্দর করেই লিখেছো কবিতার কতগুলো লাইন
    কবি মাসুদ পথিক এর আশ্চর্য কবিতার কতগুলো লাইন
    “শ্রী পলা মজুমদার” একেবারেই অক্ষত আছে।

    “জেনো স্মিতা কে বলেছি গল্প টির ছাইচাপা অংশ টুকু”
    আমার ভিষন জানতে ইচ্ছে করে, কি বলেছিল স্মিতা কে!

    “পলা আমি ঠিক একদিন পাখি হবোই খোয়াই ‘য়ের আকাশে
    তোমার ছেড়ে যাওয়া ছারা বাড়ির কামিনী ডালের সেই পাখি
    উড়বো সেদিন সাবলীল, কোন কাঁটাতার ই হবে না বাঁধা
    আর আহত ডানা থেকে ঝরবে যতো সব স্মৃতির রেশম
    তোমার চোঁখের জল মিশে যাওয়া বাতাসের দু পা’ড়ে।”

    কি আশ্চর্য! আমিও প্রতিদিন পাখি হয়েই উড়ি নীল প্রজাপতি রং আকাশে,
    “শ্রী পলার” বাড়ি যেতে যেতে পথ ভুলে যাই,
    মাঝে মাঝে বেবুন বৃক্ষের ডালে একটু জিরিয়ে নেই
    কিংবা পরিযায়ী পাখি হয়ে উড়ে যাই সাইবেরিয়া,
    তোমার গোটা গোটা হাতের লিখা নীল প্রজাপতি রঙের ডায়েরিটা
    আমি এখনো অনেক যত্ন করেই রেখেছি।

  • অমিয়

    অমিয়

    তুমি আমাকে একটি গোলাপ দাও
    আমি ভালোবাসায় তোমার হৃদয় ভরিয়ে দিব
    তুমি একবার বলো ভালোবাসি
    তোমায় আমি সাগরের সব মুক্ত এনে তোমার কপালে ছোঁয়াবো।

    তুমি একবার বলো আমাকে তুমি চাও , আমি
    মহা সমুদ্র পাড়ি দিয়ে তোমার কাছে ছুটে যাবো ।
    আমি তোমাকে পাওয়ার জন্য , সংখচিল হয়ে
    নীল আকাশে ডানা মেলে হারিয়ে যাবো।

    তুমি একবার ধরতে দাও তোমার ঐ দুটি হাত
    আমি তোমার দু’হাত ধরে তেপান্তরে হারিয়ে যাবো ,
    তুমি আমায় তৃষ্ণানার একটু জল দাও, আমি অমিয়
    ভেবে হৃদয়ের সব তৃষ্ণা নিবারন করবো।

    তুমি আমাকে বেঁচে থাকার জন্য একটু অনুপ্রেয়না দাও
    আমি সাদরে গ্রহন করবো তোমার হৃদয়তাকে,
    তুমি আমাকে ভালোবাসো, তাই তো আজও ফেরাতে
    পারোনি আমার হৃদয় হরন করা ভালবাসাকে।

    মির্জা সহিদপুর
    ওসমানী নগর
    সিলেট , বাংলাদেশ ।
    12.08.2022

  • দিলরুবা পাথরের নাকফুল

    দিলরুবা পাথরের নাকফুল

    দুপুরের পেকে যাওয়া রোদের শরীর এলিয়ে
    হঠাৎ ঝুম বৃষ্টি নামে আমার নিউ বেইলি রোডে

    একটা দমকল বাহিনীর গাড়ি সাঁ করে চলে গেল
    যেন চোঁখের ভিতর দিয়ে
    এতো বৃষ্টি তবুও কোথাও দাবানল নেভাবে।

    মুষল ধারে বৃষ্টি ঝরছে
    অনেক কর্পোরেট কবিতার জন্ম হচ্ছে ঝুম বৃষ্টি তে
    ঘাস নেই ছাঁদে, না থাকুক তবুও ভিজছি
    তোমার সঙ্গে বৃষ্টি র জলে গা ঘেঁষে

    হঠাৎ আমার নাকের দিলরুবা পাথরের নাক ফুল
    ছাদের বৃষ্টি জল নদীতে পড়ে গেলো
    খুঁজে পাই না বলে মন খারাপ আমার।

    তুমি আমাকে বললে,

    একটা নাকফুল নদী তোমাকে দিলাম,
    আমিও খুশি হয়ে নাক ফুল নদী নিলাম

    নাক ফুল নদীর জলে দু পায়ে নুপুর পরে
    আলতা রাঙা পা য়ে তোমার সঙ্গে ভিজছি।

    মনে হচ্ছে সেই শৈশবের ব্রহ্মপুত্রে জামালপুর এর
    সেখানেই ডুবে থাকি তুমি আর আমি আজন্ম।

    আর কত দিন বাঁচবো জানি না তবু ও
    যতদিন বেঁচে আছি তোমার সঙ্গে নাক ফুল নদী তে
    পা ডুবিয়ে ডুবিয়ে বসে থাকি।
    ব্রহ্মপুত্রের জলল ঠান্ডার মতোন।

    ও দিকে পরে থাকুক
    ভাইরাল আলোচনা, নানাবিধ অধিকার নিয়ে টক শো লাল গোলাপ , কাঠ গোলাপ, গোল টেবিল আলোচনা
    এক দিনের কর্ম সুচি নানাবিধ আলোচনা।
    থাকুক পরে।

    পরে থাকুক শেয়ার মার্কেটের দর পতন,
    নানা বিধ কর্মশালা,

    আমি আর তুমি পা ডুবি
    য়ে বসে আছি
    নাকফুল নদী র জলে ছাঁদে।
    সুই চোরা তিত পুঠি ভেসে যায় তাদের বাসর ঘরে।

    আমি তুমি বসে আছি নাকফুল নদীর বরফ গলা জলে
    একটা দিলরুবা পাথরের নাকফুল নদীর জলে
    সারাক্ষণ থাকতেই ভাল লাগে।

    ♥️
    শাহানা জেসমিন
    ৯/৬/২২

  • এ শহরে বৃষ্টি নামুক

    এ শহরে বৃষ্টি নামুক

    শহর জুড়ে বৃষ্টি নামুক।
    সিক্ত হোক ধরণী,
    মেতে উঠুক প্রকৃতি,
    নতুনত্বের সতেজ আলিঙ্গনে।
    সুপ্ত হোক লাজুকলতা,
    হয়ে উঠুক চঞ্চলতা,
    প্রভাতটা হোক গোধূলির প্রহর,
    শহরটা থমকে যাক স্তব্ধ নিরবতায়।
    মেতে উঠুক রিনঝিন শব্দে,
    অন্তরিক্ষ কেপে উঠুক মেঘের গর্জনে,
    প্রাণোচ্ছল হোক চৈতন্যতা,
    মৃত্তিকার সৌরভে মৌ মৌ করুক আশপাশ।
    লাজুকতায় নেতিয়ে যাক পুষ্প,
    সবুজে আনুক সতেজতা,
    তিক্ত শহরে নেমে আসুক মুগ্ধতা।
    সিক্ত হোক রমণী কেশ,
    দেখতে লাগবে বেশ।
    এ শহর জুড়ে বৃষ্টি নামুক!
    সিক্ত হোক রোদ্দরের শহরটা,
    সিক্ত হোক সর্বাঙ্গ,
    মুছে যাক ক্লেশ।
    রংধনুর সাত রঙ্গে,
    সেজে উঠুক মেদিনী।
    কাঠগোলাপের বিন্দু বিন্দু অম্ভ,
    ঝরে পড়ুক ভূমিষ্ঠে,
    রোদ্দুরে ঢাকা শহরটায়।
    আজ বৃষ্টি নামুক
    তারার আকাশটা ঢেকে যাক কালো মেঘে।
    নেমে আসুক শীতলতা,
    শা শা হাওয়ায় শিহরিত হোক সর্বাঙ্গ।
    স্ব স্ব নীড়ে ছুটে যাক পাখিরা।
    নামুক না এ শহর জুড়ে বৃষ্টি!
    নিষিক্ত হোক সমস্ত জগৎ,
    মুছে যাক অম্ভরের কৃষ্ণ মেঘ।
    নেমে আসুক বর্ষন,
    স্নিগ্ধ হোক ব্যস্ত শহরটা,
    এ শহরে বৃষ্টি নামুক
    খুব করে।।