Tag: কবিতা

  • সেই তুমিটা

    সেই তুমিটা

    তুমি আমার শব্দে থাকো,
    তুমি না হয়, কলমে থাকো,
    তুমি আমার কবিতায় থাকো,
    আমি বরং, উধাও তুমি’টা থেকে, নিষ্কৃতি পেতে চাই না।

    রোজ ভেবে, ভেবে, নতুন শব্দ রচনা করবো,
    আকাশে তাকিয়ে, মেঘের ভেলায় তোমার লুকোচুরি খেলা দেখবো,
    আর অতীতের তীর হতে, বিষাদের পেয়ালায়, ফু দিয়ে দিয়ে ঠোঁট ভেজাবো,
    চোখ বেয়ে পড়া কাজলে, তোমার ছবি আঁকবো।

    তুমি যখন কবি, তখন আমি ছবি,
    তুমি যখন স্বর্গে বসে আনার খাও,
    আমি তখন বন জঙ্গলে, পশুপাখির এটো খাবারে মুখ ডোবাই,
    তুমি যখন স্বর্গে বসে, পাখির কুজন শোনো,
    আমি তখন ভাবি, মোমবাতিগুলোর, এতো আলো কেন,
    তুমি যখন আমায় ভেবে ভালোবাসো,
    আমি ভাবি কেন মিছে হাসো,
    তুমি যখন আমায় ডাকো, তখন ভাবি তোমার জন্য, এতো আলো ছাড়বো কেন।

    চৈত্রের খরা রোদে, যখন মোমবাতি শুকাই,
    তখন ভাবি এতো আলো চোখ করবে বুঝি ছাই,
    তখন আমি অন্ধ সেজে, রোজ তোমারি গান গাই,
    তাইতো, আজও প্রদীপ হাতে তোমায় খুঁজে যাই।
    তুমি যখন দুঃখ ভোলাও,
    আমি তখন হাসিয়া কাঁদিয়া বলি, এই তবে ভালোবাসি।

  • রসময় স্মৃতির টইটম্বুর চুপচাপ

    রসময় স্মৃতির টইটম্বুর চুপচাপ

    অজান্তেই মনের চোখ দিয়ে
    নিজের দিকে তাকালাম
    আমার ভেতরটা কে
    আমূল নাড়িয়ে দিয়ে।

    এখন মেঘ সাম্রাজ্যেরও
    বুঝি পতন হলো।
    বৃষ্টির পানিতে
    মাটির সোদা গন্ধে
    আমি বিভোর।

    রঙিন প্রজাপতি মনের
    পাল তুলে
    আমার অতিথি হল।
    আমি বিভোর হলাম!

    হাসনাহেনার গন্ধে
    ভুর ভুর করে আমার অঙ্গন।
    কিন্তু, সেখানে আচমকা এমনি করে
    কবে যে চর পড়ল!

    যৌবন স্মৃতিতেও হয়
    স্তরময় স্তর।
    না আমি উদভ্রান্ত হইনি,
    সংসার ঘুরপাক ঘিরেই পড়িমরি।

    ধ্বস্ত-বিধ্বস্ত সময়,
    আদর পাকিয়ে
    ফিসফিসিয়ে বলে
    চলো নদীর ওপাড়ে যাই।

    ওখানে তোমার
    কত রসময় স্মৃতির
    টইটম্বুর চুপচাপ।
    মাঝে মধ্যে যেয়ে
    যত্ন নিয়ে এসো।

    ফৌজিয়া সুলতানা
    ৯/৯/২২

  • বিনাশিত স্বপ্ন

    বিনাশিত স্বপ্ন

    স্বপ্ন গুলো সেই কবেই থমকে গেছে,
    আটকে আছে–
    মাকড়সার জালের ঠিক মাঝ বরাবর,
    ঝনঝন শব্দ লহরীতে —
    টুকরো টুকরো স্বপ্নেরা আজ,
    চারিদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে অসংখ্য স্বপ্নের লাশ,
    এভাবেই ঠুকরে ঠুকরে খেয়ে যাবে কি-
    অগণিত নাম না জানা কাক আর শকুনের দল?

    আকাঙ্ক্ষা গুলো আজও ভাঙ্গা মনোরথে দাঁড়িয়ে ,
    যে কোনো সময় মুখ থুবড়ে পড়বে –
    জমকালো পিচ ঢাকা মাঝ রাজপথে,
    এভাবেই বেঁচে রবে যুগের পর যুগ কেউ ,
    বান্ধবহীন হৃদপিণ্ড জুড়ে একাকী অবসন্নতায়।

    চাই একটু নির্মল বিশুদ্ধ হাওয়ার মায়া,
    চরমপন্থী এই ফুসফুসের নান্দনিক বাঁচার আক্ষেপ,
    চাই একটু সজীব ভলোবাসা আর ওষ্ঠে উষ্ণ চুম্বন।
    আমরা বাঁচাতে পারিনি আমাদের স্বপ্নকে,
    পারিনি বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের সাংবিধানিক অধিকার,
    আমরা বাঁচাতে পারিনি আমাদের এই গ্রহটিকে।

    আমাদের স্বপ্নেরা অপ্রচলিত পথে ছুটে চলে,
    তাইতো তাদের পা আজ ক্ষতবিক্ষত,
    অনর্গল রক্ত ঝরতে ঝরতে মুমূর্ষু,
    তবুও তারা ছুটে চলে দুর্দম,
    স্বপ্নবাজ প্রাণবন্ত আত্মারা সব নেমে এসেছে-
    কবরের অন্ধকার সুবিশাল নির্জনতায়।

    প্রলোভহীন ভালোবাসায় আমরা–
    হাজার বার পিষ্ট হচ্ছি বিত্তের বিনাশী চাকায়,
    নিকোটিনের তিক্ততায় –
    সংকুচিত হচ্ছে আমাদের রক্ত প্রবাহিত নালী সব,
    প্রতারণাহীন আমাদের সমগ্র বিশ্বাসে জ্বলে বিক্ষুব্ধ আগুন,
    গাঢ় অন্ধকার তাকে পোড়াতে পারিনি বলে, নিজেই নিজেকে পোড়ায়।

    আমাদের স্বপ্ন ছিলো একটি সাদা গোলাপ,
    সমতার বন্ধনে একটি নীলাদ্রি আকাশ,
    স্বপ্ন ছিলো এক প্রশান্তিময় নিদ্রার রাত,
    ছিলো এক শাশ্বত হৃদয়ের মনোমুগ্ধকর প্রেমালাপ,
    কিন্ত কোথাও নেই স্বপ্নের লেশ চিহ্ন,
    কোথাও আমাদের স্বপ্নের কোনো সূচনা নেই,
    আমাদের স্বপ্নগুলো ঠুকরে ঠুকরে খাচ্ছে মাংস ভোজী হিংস্র বাজপাখির দল।।

    মোঃ হাবিবুল হক চয়ন।
    মিরপুর,ঢাকা/ ০৮.০৯.২০২২।

  • কে তুমি কে…

    কে তুমি কে…

    কে তুমি কে…
    বলো তুমি কে?
    আড়ালের আঁধারে
    নিজেকে লুকিয়ে
    ভাবনার সাগরে
    ডুবিয়ে দাও আমায়।

    নীলাঞ্জনার ডাকে
    মৃদু হওয়ার তালে
    একবার নেচে
    যাও না তুমি।

    লুকোচুরিতে দু পায়ে
    রিনিঝিনি নুপুর
    বাজে বলে
    তোমার সন্ধানে
    ছুটে চলি বহু রাত্রি।

    ধরাও দাও অদৃশ্য
    অনুভূতি ধরা দাও…
    খেয়ালে বেখেয়ালে
    মনের দেয়ালে
    ঝুলে যাওয়া
    ঘড়ির কাটার মতো।

    খুঁজে চলি খুঁজে মরি
    মনের আড়ালে
    নয়তো হৃদ মাঝারে
    তবুও না পাই তোমার
    ছায়ার দেখা…

    অচেনা,একবার দৃষ্টি
    মেলে তাকাও,
    আড়াল কে আড়াল
    করে ফিরে এসো
    সম্মুখ দুয়ারে…

    শান্তি,প্রশান্তির
    বাতাসে দোলাও হৃদয়
    মনের সুবাসে
    ভরাও অতৃপ্ত প্রাণ।

    কবিতার ছন্দে নয়
    অগোছালো কথায়
    ফিরে পেতে দাও তোমার
    আড়ালের তুমি কে,
    কে তুমি কে? বলো তুমি কে?

    ✍️কামরুন্নাহার বীথি

  • রু প ক থা

    রু প ক থা

    অবয়ব হোক নিঃস্বার্থ
    সম্পর্কের গভীরতায়
    ডুবে থাক্ হৃদয়

    আত্মার খোরাক রুপে
    সুনির্মলে চিত্রিত হোক আত্মদর্শন
    যাবতীয় জটিল সমীকরণের
    ঊর্ধ্বে উড়ুক যুগল মননের রেশ

    জীবন চরণের প্রতি পদক্ষেপে
    রচিত হোক সুদৃঢ় আস্থার দেয়াল

    সাঁতার না জানা দুর্গতিতে
    ভয়াল সাগর আন্দোলে
    নিশ্চিন্তে অনুভূত হোক
    অথৈয়ের মাঝে
    ঠাঁই প্রাপ্যতা সম
    অস্থির পায়ের তলায়
    পলিমাটির সুস্পষ্ট আভাস

    রু প ক থা র
    সিন্দুক হোক্ সম্পর্কের ঢং
    শত মরচেধরা জংয়ের পরেও
    চরম চুড়ান্ত প্রয়োজনে
    যেন অনায়াসে
    বিশ্বাসের তালা খুলে যায় এক লহমায়

    পরমাত্মীয়তেও অতি দুর্লভ বন্ধুয়ার বন্ধুত্ব

    বন্ধুত্বের ছায়া-ছোঁয়া অবিরাম
    ছুঁয়ে-ছুঁয়ে থাক তোমায় আমায় প্রিয় বন্ধু আমার

  • অক্ষম অক্ষর

    অক্ষম অক্ষর

    কবিতা লেখা বড়লোকের বাতিক–
    অথচ নিতান্তই কারখানা টাইপের প্রেস থেকে,
    নির্বোধ হাভাতে কবি, কিছু অক্ষম অক্ষর ছাপিয়ে;
    ঝুলি ভরে–
    মাঝে মধ্যেই হাজিরা দেন, পরিচিত বন্ধু বান্ধবের
    আড্ডায়।
    সচরাচর কবিতা কেউ শোনে না; পড়েও না–
    নিতান্তই ধার শুধবার ক্ষমতা নেই বলে, কেউ কেউ
    করুণা করে–
    হাত পাতবার লজ্জায় কবি আজ বই পাতে…
    তারপর, যে যা দেয়!

    ত্যাক্ত বিরক্ত সুহৃদেরা, আজকাল ধীরে ধীরে–
    ছেড়ে যাচ্ছেন।
    এদের মধ্যে যারা মুখ ফুটে বলেছেন,
    “এভাবে ভিক্ষে চাইতে লজ্জা করে না!”
    তাদের কাছে আর যাবো না।
    সন্তান বিক্রির মহোৎসবে আর কতোকাল?
    এতিম কেনে না কেউ!

    -তন্ময় সাহা
    ০৩/০৯/২০২২

  • সমাধিফলক

    সমাধিফলক

    সমাধি হয় শুধু মৃত্যুর পর এ দেহের
    যেখানে অপেক্ষা অনন্ত জীবন,
    যে সমাধি মনের হয় নিজ জীবনদ্দশায়
    সেখানে তো কেউ রাখে না একগুচ্ছ গোলাপ,
    দু’ফোটা অশ্রুজল বা লিখে না কোনো
    সমবেদনার প্রেমের সমাধিফলক !
    তাই তো মনের সমাধি হয় অন্তর কারবালায়
    লোকচক্ষুর অন্তরালে একাকী
    চোখের অশ্রুজলে গভীর বেদনায় ।

    তাই যখন কোনো সমাধি স্তম্ভের কাছে যাই
    মনে মনে ভাবি কেউ কি দেবে
    এইরকম একগুচ্ছ ফুল !
    বা একফোটা নিরব অশ্রুজল নিরবে নিভৃতে
    একাকী মহান অপার সৃষ্টিকর্তার কাছে
    একটু দোওয়ায় ও ভালোবাসায় !
    আত্মজ ,আত্মজা ,প্রিয়তম বা বন্ধু স্বজন ।

    দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ সমাধি প্রান্তর
    যেখানে শুয়ে আছে সবার অসংখ্য প্রিয়জন।
    একটা ,দুটো বা অসংখ্য সমাধিস্তম্ভের পাশে
    নানান রঙ বেরঙের ফুল শোভা পায় ,
    পরম ভালোবাসায় প্রিয়জনের মনের
    আয়নায় অপার কান্নায় ।

    আত্মজের হাত ধরে যখন বসে রইলাম
    প্রবাসের এই সারি সারি সমাধি ফলকের
    কাছে পরম মমতায় ।
    মনে পড়লো প্রিয় পিতাকে
    যখন গিয়ে দাঁড়াই তার সমাধি ফলকে,
    দোওয়া বিধাতার কাছে নিরব অশ্রুজলে
    একাকী মনের নিস্তব্ধতায়
    গভীর কান্নায় মায়ার বাঁধনে !

    নিবেদন করলাম আমার প্রিয় আত্মজকে
    সমাধিফলকে এই আমার ,
    রেখো কখনও কর্মব্যস্ত অবসরে
    মমতায় একগুচ্ছ টিউলিপ
    বা লাল গোলাপ।
    পরম ভালোবাসার প্রগাঢ় মায়ায়
    ভালোবাসায় স্মরণে আমায় ।
    দেশে বা প্রবাসে যেখানেই আমার
    অন্তিম যাত্রার শেষ আশ্রয়
    সমাধিপ্রস্তরে মাটির কায়ায় ।

  • ভালোবাসি

    ভালোবাসি

    আজকাল বড্ড ইচ্ছে করে,
    পাঁপড়ির কোনে সাম্যের ভাষ্কর্য গড়তে।
    কারো যত্নের একুরিয়ামে জলদস্যু হয়ে
    ঝড়ের মতো ঝাপিয়ে পড়তে।

    জানি এ নিহিত সাঝদুপুরে
    হাঁটু গাড়া এমন আক্রোশ একটা ব্যাধি,
    ভয়ঙ্কর সংকেতে জলোচ্ছাস বুকপুকুরে
    দিকজয়ী নাবিক উজানে ভাসালো সবি।

    কারো অবিশ্বাসে কি বা যায় আসে
    ফালগুনের উঠানে বসন্ত আজ সয্যাশায়ী,
    প্রতিরাতে অমাবস্যা অট্টহাসে
    বিদঘুটে অন্ধকার দীর্ঘস্থায়ী।

    অপেক্ষার এ অত্যাধুনিক সময়ে
    পাঁচ টাকার মোমবাতির মতো জ্বলছি,
    পথ ভুলে গেছে কেউ স্বার্থের নিয়মে
    নুনাধিক অজস্র বার মরেও বেঁচে আছি।

    শহরের সবক’টা পথ যেমোড়ে থেমে গেছে
    মধ্যরাতে প্রায় এখনো ছুটে আসি,
    স্বার্থের নাট্যশালায় যেদিন হবে সবই মিছে
    সেদিনই বুঝবে কতখানি ভালোবাসি।

           তোমায় কতখানি ভালোবাসি।

    সাহেদ আহমেদ
    বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১১টা
    ০৭ ভাদ্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ
    ২২ আগস্ট ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ
    থানার ঘট বুড়িগঙ্গা জিনজিরা
    কেরানীগঞ্জ ঢাকা ১৩১০ বাংলাদেশ।

  • এ লজ্জা কার

    এ লজ্জা কার

    রাতের সড়কে বৃক্ষটা নির্বাক দেখে
    জোৎস্নার বস্ত্রহীন লাশ,
    আবেগের রুমাল বেঁধে বিবেকের চোখে
    সকাল বলে এ লজ্জা কার?

    সভ্যতার দু’তলার ফ্ল্যাটে
    নির্লজ্জ ভদ্রতার বসবাস,
    সত্যের ধার নেই ঠোঁটে
    কলঙ্কে শহর একাকার।

    পতাকার কলার টেনে
    প্রশ্ন করে লাভ কি আর?
    কাকের সাথে চুক্তি হয় ধানে
    সমস্ত দোষ কাকতাড়ুয়ার।

    দেশটা আজ নর্তকীর সাজে
    চিতার কাষ্ঠে বসে খুজে দিয়াশলাই,
    সততা আজ ক্লান্ত প্রাপ্তির ঝাঁজে
    আদর্শলিপি নিখোঁজ নিষ্ঠার পাঠশালায়।

    বাকরুদ্ধ দেশ চিৎকার করে বলে,
    হে বাঙালী এ লজ্জা কার?

    সাহেদ আহামেদ
    বুধবার রাত ০৮:৪০ মিনিট
    ২৪ আশ্বিন ১৪২৬ বঙ্গাব্দ
    ০৯ অক্টোবর ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ

    ইসমাইলের চায়ের দোকান,
    ইমাম বাড়ি সড়ক আগানগর কাঠুরিয়া,
    কেরানীগঞ্জ ঢাকা বাংলাদেশ।

  • এলোমেলো

    এলোমেলো

    আমি লিখবো তোমায় নিয়ে
    সুন্দর বিকেলের মৃদু হাওয়ায় ঝড়ানো পাতার
    শুষ্কো আবেশ মিশিয়ে,,,

    বহুকালের জন্মানো বকুলের
    শিকর উপরে ফেলার পরও যেমন
    তার স্থানে ক্ষত সৃষ্টি হয় সে ভাবেই,,,,

    খুব গাঢ় কালিতে লিখবো
    হৃদয়ের রঙে মনের কলমে
    মন ভেঙ্গে গেলেও লেখাটা
    ভাঙ্গা মনের দেয়ালে স্পষ্ট রূপে ঝুলবে,,,,

    কিন্তু তোমায় নিয়ে কি লিখবো?
    কথারা তো ভীর জমায় মনের ঠাঁয়
    অদৃশ্য আত্নার কালোর মাঝে নীলের
    আবছা ছোঁয়ায় যে বর্ন ধারন করে,,

    লিখলে পড়বে তো?
    আমার তোমাকে বলা না বলা কথা গুলো?
    জানি পড়বে,হয়তো দু-চোখের পাতাও ভিজবে
    কারন,এ রং তোমারি দেওয়া,,,,,,

    অনুশোচনার সাগরে ভাসবে
    খুঁজবে অতীতের সাদা-কালো আমি টা কে
    কিন্তু খুঁজলে শুধুই পাবে অনুভুতির উড়ন্ত বালি
    আমি তো এখন তোমার রঙে রঞ্জিত এক
    ব্ল্যাক ব্লু হয়ে বেঁচে রয়েছি অচেনা
    একাকিত্বের শহরে,,,,,,,,,