Tag: কবিতা

  • আমার অন্য যুগের সখা

    জনম জনম এর প্রিয় সখা তুমি মোর
    এ মদির আঁখিতে শুধু তোমারই ঘোর….
    লাজে অবনত চোখে হৃদয় গহীনে
    মধুর মায়ায় বসিয়েছি প্রেমেরই আসনে….
    সুন্দর তুমি, অংগে তোমার চিরযৌবন,
    বাহুডোরে বেধে রাঙালে মোর একাকি ভুবন…
    মর্মভেদী দৃষ্টি তোমার, মোর চিবুকের
    তিল নিয়া দিবানিশি করে খেলা…..
    ব্যাকুল হৃদয়ে অবেলায় ভাসাও
    প্রেমের অগ্নিভেলা…….
    এ তো নহে শুধুই কল্পনা, হে মোর প্রিয় কবি…
    নিশ্চিত মোরে সখি মানিতে পাশে থাকিতে যদি…….
    তন্দ্রাবিহীন ব্যাকুল পাখির
    মানেনা অবোধ হিয়া……..
    কিকরে বোঝাবে তারে বলো
    কোনসে দৈববাণী দিয়া……..
    আমি সেই তরুনি ওগো
    নতুন যুগের কালে…….
    তোমাকেই মেনেছি আমার
    অন্য যুগের সখা বলে……..!!

    (বিঃদ্রঃ — কবি গুরু রবি ঠাকুরের লিখা “তোমার অন্য যুগের সখা ” স্মরণে…)

    শিমু কলি
    ৬/৮/২০২১ইং

  • কেবল তুমি

    কেবল তুমিই পারো, এনে দিতে
    জলজীবনের অন্ত টেনে
    পল্লবিত ছায়া….
    ভঙ্গুর সুরের মূর্ছনাতেও
    কী নিদারুণ মায়া……!!

    তুমিই পারো অন্ধচোখে
    আকাশ প্রদীপ জ্বালতে….
    বুভুক্ষু চাঁদের চোখে
    সূর্য হয়ে জ্বলতে……
    উল্টো স্রোতেও ঢেউ তুলে
    উজান পানে বাইতে…
    তুমিই পারো মাঝনদীতে
    মিলন বাসর গড়তে…. ;

    শীতলতার বরফ ছুঁয়ে
    উষ্ণ সরোবরে…
    তুমিই ফোটাও প্রেমের কোমল
    ভীষণ চুপিসারে……
    স্বপ্ন আমার আধার রাতেও
    জোছনা হয়ে ঝরে ;
    ফিনিক্স পাখি উড়ে বেড়ায়
    সারা হৃদয়পুরে…..।।

    তুমিই আমার জোছনা পুরুষ
    তুমিই ধুপছায়া…..
    তোমার মাঝেই বিলীন আমার
    সকল রূপের কায়া….।।

  • অভিমানী

    অভিমানী

    ওরা আর আগের মতো হাসে না।

    রাত জেগে সুখ দুঃখ ভাগ করে নেয়না
    বিদায় নিয়েও আগের মতোই’
    বার বার কাছে ছুটে আসে না
    দুস্টু মিষ্টি ঝগড়া ও করে না।

    মান -অভিমান, রাগ কেউ বুঝে না
    কল্পনায় হারিয়ে বহু দূরে ছুটে না।

    ওরা আর আগের মতো হাসে না।

    ভোর হবার অপেক্ষায় থাকে না
    আধো ঘুম ভেঙে কাউকেই খুঁজে না
    আগের মতো দুজন দুজনকে ভালোবাসে না
    শেষ পরিণতিও যে জানে না।

    ওরা আর আগের মতো হাসে না।

    লীনা ফারজানা
    ২৭/৭/২০২১ইং

  • বৃষ্টি

    আকাশ জুড়ে মেঘের ডালা
    টাপুর টুপুর বৃষ্টি মালা…..
    বুকের ভেতর ফাগুন শাখে
    উদাসী এক কোকিল ডাকে….

    মেঘ বালিকার উদাস মন
    বরষা ছোঁয়া বিষাদ ক্ষণ…..
    চেয়েও যে তার পায়না দেখা
    নিঠুর বড় প্রাণের সখা…..

    এক শ্রাবণে মধুর মিলন
    অন্য শ্রাবণ স্মৃতির দহন….
    আকাশ জুড়ে বৃষ্টি এলে
    কোথায় তুমি কোন আড়ালে?

    দিন চলে যায় সংগোপনে
    বিরহী গীত মন পবনে….
    এসো প্রিয় হৃদয় মাঝে
    বরষা ছোঁয়া উতল সাঁঝে…..

    কথা দিলাম পাষাণ হৃদয়
    বাধবো ডোরে ফাগুন মায়ায়…..
    হাত দুখানি রেখে হাতে
    ভিজবো দুজন ব্যাকুল রাতে…..

    শিমু কলি
    ১৮/০৭/২০২১ইং

  • দূরত্ব

    দূরত্ব

    কিছু লিখতে চাই তোমায় নিয়ে
    তুমি পড়বে তো?

    মনের দূরত্ব যে অনেক হলো
    ভাবলে কিছু আমায় নিয়ে?

    আমি না হয় একটু ছেলেমানুষ
    তুমি ও তো নও কম কিসে?

    ভুলেই গেছো পুরোনো স্মৃতি
    আমি যে তোমায় ভুলতে পারিনি।

    বেলা শেষে চলেই গেলে
    অপেক্ষা যে মানছে না
    একটু না হয় করেছি ভুল
    কেঁদেই এখন পাই না কুল।

    ক্ষমা যদি নাই বা করো
    ঘৃণা টুকু দিয়ে যেও
    আমি ও এখন বড়ই নিঠুর
    কাঁদতে যে আর পারব না।

    লীনা ফারজানা
    ৯/৭/২০২১ইং – সময় : ৪:২২ মিনিট

  • প্রত্ন

    অপেক্ষার নাম হয় অচেনা আকাশ
    চেনা আকাশেই জমে মেঘেদের কান্না…
    অঝোর বর্ষণে ভিজে যাওয়া চোখ
    যে চোখে লুকানো থাকে গোপন পান্না….

    আরো থাকে সহস্র না পাওয়ার গল্প
    সিন্দুকে জমা নানা ইচ্ছের রত্ন…..
    এক বরষায় ভেজা খরো অনুভুতি
    জমে জমে হয়ে যাক পাথরের প্রত্ন……

    শিমু কলি
    ০৪/০৭/২০২১ইং

  • সাথী লাগবে সাথী

    সাথী লাগবে সাথী

    সাথী লাগবে সাথী!
    বিকেল বেলা
    খেলার ফাকে
    দেখতে ছিলে
    এই আমাকে
    একটু আড়চোখে।
    আমিও ছিলাম
    মগ্ন তোমায়
    হঠাৎ করে
    চোখ পরে যায়
    তোমার হরিন চোখে।
    তখন দূরের ফেরিওয়ালা
    হাক দিয়ে যায়
    ভাল লাগায়
    সাথী লাগবে সা…থী

    মুখ ফুটে
    বলার চেয়ে
    চোখের ভাষায়
    হাত ইশারায়
    দূর নীলিমায়
    দখিন হাওয়ায়
    মনের কথা
    বলতে পারায়
    আনন্দ তো
    কম কথা নয়।
    নাইবা হলে
    চলার সাথি
    একটু ছোঁয়া
    কম কথা কি
    একটু না হয়
    থমকে দিলাম
    তোমার চলার
    ছন্দমধুর গতি।
    রাতদুপুরের নির্জনতা
    গভীর ঘুমের স্বপ্নিলতা
    তারই অবসরে
    তারি মাঝে ক্ষনিক তরে
    যদি বা মনে পরে-
    খুব কি হবে ক্ষতি!!!
    সাথি লাগবে সা…থী

  • জোনাকীর আলো

    জোনাকীর আলো

    ছোটো বেলায় বার্ষিক পরীক্ষা শেষে নানা বাড়িতে বেড়াতে যেতাম।
    জোস্না রাতে বড় ভাই ও ছোটো খালাদের সাথে উঠোনে নেমেই
    দেখতে পেতাম জোনাকীর ঝাঁক।
    পেছনে আলো জ্বলছে বেশ আনন্দ পেতাম।
    আমিও পিছু নিতাম ধরবো তাই।
    নাগালের বাইরে ছিলো যে, ধরা কঠিন কাজ।
    আলো জ্বেলে উড়ছে তো উড়ছেই দেখে
    ভাবতাম, সম্ভব এমন আলো ছড়ানো কিভাবে।
    মাঝে মাঝে ঘরে এসে আলো ছড়াতে দেখতে পেতাম।
    কিযে ভালো লাগতো।
    বন্ধু দের কাছে শুনেছিলাম জোনাকি ঘরে এলে প্রচুর টাকা আসে।
    অনেক কষ্ট করে ধরেই মামাদের শার্টের পকেটে ভরে দিতাম।
    ভাবতাম, টাকা আসবেই আর আমি
    সবাইকে সেই টাকা দিয়ে সাহায্য করবো।
    জানি না আমার মতো এমন ভাবনা কারো মনে জেগেছে কিনা।
    তবে আমার বেশ ভালোই লেগেছিলো।
    এই ভাবনা গুলো মাঝে মাঝে ভাবলে মন্দ কি?
    এখনো মিস করি জোনাকীর আলো।

    লীনা ফারজানা
    ২৮ /৬/ ২০২১

  • দূরত্ব

    দূরত্ব

    সাময়িক দূরত্বেও মাঝে মাঝে
    ঘুচে যায় জন্মান্তরের ব্যাবধান…..
    অভিমানগুলো হয় বাষ্পীভূত,
    ঘনীভূত হয় ভালোবাসা…..

    দূরত্ব কখনো বাড়িয়ে দেয়,
    আকাঙ্খা আঁকড়ে থাকার…..
    অনন্ত উষ্ণতার গল্প মাখা
    এক রঙিন নকশীকাঁথার…..

    বরষার গান যেমন ভেঙ্গে
    ফেলে রাত্রির জমাট নীরবতা…..
    তেমনি দূরত্ব বুঝিয়ে দেয় হৃদয়ে
    জমা আছে কতটা ব্যাকুলতা….

    মাঝে মাঝে দূরত্বের আবহ তাই মন্দ না……

    শিমু কলি
    ১৬/০৬/২০২১ইং

  • আমজনতা

    সত্য কোনটা মিথ্যা কোনটা
    বোঝা কঠিন দায়….
    আমজনতা সব নাটকেই
    সমান মজা পায়….

    কে খারাপ আর কে যে ভালো
    তর্ক জমে বেশ….
    একটা নাটক শেষ না হতেই
    অন্য আরেক কেস….

    অনলাইনে গালিগালাজ
    হট্টগোলের ভিড়….
    আসল দোষী এই ফাঁকেতে
    সবার কাছে পীর….

    থাকলে টাকা অঢেল তোমার
    করবে হেরেমখানা…
    সুন্দরী আর সুরার মাঝে
    তোমার স্বর্গখানা…..

    কে আছে আর রুখবে তোমায়
    কে আছে আটকাবে…..
    অর্থ দিয়ে স্বার্থ তোমার
    ঠিকই হাসিল হবে….

    আমজনতা আম খাবে আর
    চুষবে আমের আঁটি…
    দেখে নাটক ভাববে,
    কেনো আমরা চুনোপুঁটি….!!

    থাকতো যদি অঢেল টাকা
    পেতাম কত হুর-পরী….
    হেরেম খানা থাকতো আমার
    থাকতো প্রমোদ তরী…..

    থাকতো আরো কত কিযে
    ভাবতে ভালো লাগে…
    রাগের বশে খিস্তিখেউড়
    বিত্তশালীর ভাগে…..

    কেনো হলাম আমজনতা
    আহা, এতই মূল্যহীন….
    ফেসবুকের প্রতিবাদেই
    মেটাই দেশের ঋণ……