Tag: কবিতা

  • নৈবদ্যে বাসর

    নৈবদ্যে বাসর

    আঁধারের নিস্তব্দতা আমার কপাল ছুঁয়ে সুপ্ত ঘাসের বুকে শিশির কণার জন্মদেয়।
    আর আমি বৈকুণ্ঠের উইল হাতে দারুণ লুকোচুরি খেলি
    জানালার ওপাশে ভেলভেটের রঙে রঙিন আলোর সাথে।

    হিমাদ্রির অতলে তলিয়ে যাওয়া পরাবাস্তব কুঠুরীতে উঁকি মেরে চাই
    বড়ই আবছা ঠেকে আলো আঁধারির এ খেলা
    এ যেন এক চকমকির থলে হাতে বুড়ো যাদুকরের মুচকি হাসির অবয়ব
    চেনা সুরের এক অচেনা গান।

    খঞ্জনী হাতে বৈষ্ণবের গলায় রুদ্রাক্ষের মালা।
    বড় বেসুরো ঠেকে,তবলার তালে দারুন গোলমাল।
    আমি একতারার পিছনে ছুটে ছুটে ক্লান্তির মেঘের জলে ডুব সাঁতার খেলতে চাই
    ওদিকে অরুনিমার ফেরার সময় হয়ে এলো
    আমায় আবির রঙে রাঙাতে দুমুঠো আবির ছিটোয়
    আমার হয়ে উঠেনা,জলরঙা সিঁদুরে আমি স্নান করি
    আর গোধুলির সনে সাজাই নৈবদ্যের বাসর।

    ফরিদা আখ্তার মায়া
    ২২শে ডিসেম্বর, ২০২১ইং

  • প্রেমময় লগন

    প্রেমময় লগন

    বাতায়নে বসে আছি তোমারি আশায়,
    ভ্রোমরেরা ফুলে বসে গুন গুন গায়।
    বঁধুরো মিলনো ক্ষন মধুর মিলন,
    এলোবুঝি আজ তবে শুভ সে লগন।

    আকাশে সিঁদুর লাল দেখতে যে পাই
    ময়ুর মেলেছে পেখম মেঘ দেখে তাই
    নাচবে ময়ুর আজ পেখম মেলে
    আমি বসে ভাবনায় তোমার খেয়ালে।

    ডানা মেলে পাখিরা নীড়ে ফিরে যায়,
    আমি বসে পথ চেয়ে তোমারি আশায়।
    আসবে যবে তুমি সংগোপনে
    হারাবো দুজনে তবে মধুরো মিলনে৷

    এই বুঝি নামলো রিনিঝিনি দেয়া
    ভোলা কি যায় সেই মন দেয়া নেয়া,
    প্রেমময় মনো মোর গেয়ে ওঠে গান
    প্রিয় ওগো প্রিয় এসে ভরে দাও প্রাণ।

    এলো বুঝি আজ তবে শুভ সে লগন
    মনে আজ দোলা দিলো মধুরো ফাগুন৷
    হবে বুঝি প্রেমময় মধুর সে ক্ষন
    এলো বুঝি এলো তবে শুভ সে লগন।

    জীনাত
    ২০শে ডিসেম্বর ২০২১
    সময়ঃ বিকেল ৪টা

  • বিরহিণী চাঁদ

    বিরহিণী চাঁদ

    বিরহ লুকিয়ে আবার জাগতে চাই
    নিস্তব্ধ সহস্র রাত্রি…
    তোমাকে এবার একটু ভাবাতে চাই
    আমার আগুন্তক যাত্রী…
    থাকুক একাকীত্ব, তবুও তোমাকে
    হারানোর গুমড়ে উঠা হৃদয়ে
    চাই প্রবল উম্মাদনা;
    স্বপ্নারোহনের বিলাপে
    দানা বাধুক কামনারা…
    গোপনে গহীনে না বলা কথা
    থেকে থেকে হোক স্পন্দিত;
    খুজে নিতে চাই প্রতিটি
    দীর্ঘশ্বাসে তোমারই অস্তিত্ব।
    অধর প্রকোেষ্ঠ নিতে চাই
    অনন্ত তৃষ্ণার বিষ…
    আশান্বিত স্বপ্নরা না বুঝেই
    দিয়ে যাক প্রদীপ্ত শীষ…
    বাজুক এবার উষ্ণতার সিম্ফনি
    নিঃসঙ্গ ডুবোচরে…
    গুপ্ত কথার কাব্যচিত্র হোক
    শুন্য ক্যানভাস জুড়ে।
    সকাল দুপুর বিকেলগুলো
    আসে যদি বিষন্ন আবরনে,
    না ছুবোনা শুধু – ভালোবেসে
    তাদের জড়াবো আলিঙ্গনে…
    তোমাকে এবার একটু ভাবাতে চাই,
    তুমিহীন গাঢ় উপলদ্ধিতেও ;
    আমি তোমাকেই চাই…
    ভিষন প্রতিরোধেও যা হবার
    হতেই থাক…
    বিরহী গগণজুড়ে জেগে থাক
    একাকী বিরহিণী চাঁদ…

  • প্রার্থনা

    প্রার্থনা

    অল্প খাওয়া আর পরা নিয়ে কভু
    করোনা মনে তে দুঃখ
    বেশি খাওয়া আর পরা নিয়ে পরে
    মন টা হবে যে রুক্ষ।

    কি ছিলে তুমি, কি বা পরিচয়
    সে দিন হবেনা গন‍্য
    হাশরের মাঠে ঝরবে যে ঘাম
    বে-হিসাবের জন্য।

    কেউ যদি কভু তোমার উপর
    নির্ভরশীল হয়
    নছীব তাহার, উপর ওয়ালার
    মন্দ কিছু তা নয়।

    কাউকে দানেতে,অর্থ বিলাতে
    হয়োনা অহংকারী
    তোমার কথাতে কিংবা আঘাতে
    কেউ না করে আহাজারি।

    নিজেকে বড় মনে করে তুমি
    করোনা অহংকার
    আল্লাহ্ চাইলে করে দিতে পারে
    নিমিষেই ছারখার।

    লোক দেখানোর দান দক্ষিনার
    জড়িও না মায়াজালে
    যদি তুমি চাও পূন‍্য কামিয়ে
    সুখ পেতে পরকালে।

    মহান আল্লাহ্ দেখছেন সব
    নয় তাতে কিছু বাদ
    ভয় করো যেনো, না ঘটে কখনো
    মজলুমের ফরিয়াদ।

    ফরিয়াদের আর্তনাদে করুণ
    পরিনিতি ঘটে
    মজলুমের হাত দুটি যেনো
    দোয়ার জন্য উঠে।

    আল্লাহ্ র কাছে এই দোয়া করি
    বুঝ দিন জনে জনে
    পাপ পূন‍্যের হিসাব টা যেনো
    মনে থাকে সর্বক্ষনে।

  • পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে…

    সম্পর্ক টা যখন আত্মীয়তার সম্পর্কের
    থেকে ভালোলাগার শুরু হয়েছিলো
    কি ভীষণ মুগ্ধতা নিয়ে দেখতাম তোমায়
    তখন দেশটা ছিল পরাধীন, উত্তাল ছিল সময়!

    ছাত্র আন্দোলনের পুরোটা সময় থাকতে
    তুমি ব্যাস্ত ব্যানার মিছিল মিটিংয়ে।
    কতো কতোদিন লুকিয়ে লুকিয়ে শুনেছি
    তোমাদের গোপনালাপ আড়াল থেকে।

    সেসব কথা, মনের কোণে শ্রদ্ধা জাগাতো
    তারপর ভালোলাগা বেশি সময় নেয়নি
    ভালোবাসায় গড়াতে।

    সেসময়ে ভালোবাসাবাসি ছিলো না সহজ
    নিজের কাছে নিজেই খুঁজতাম জবাব।
    কিভাবে বলবো তোমায়, জেনে ফেলে যদি
    ছেড়ে দাও আত্মীয়বাড়ি, করে আমায় নাকচ!

    তারপর ও তুমি কিভাবে টের পেয়ে গেলে,
    আমার ভয়কে মুক্ত করে নিজের ভালোবাসার
    কথা নিজেই পত্রে জানালে!

    আবেগে আমি কেঁদে কেঁপে অস্থির হয়েছি,
    তারপর মুগ্ধতায় চিঠিটা বারবার পড়েছি!

    এভাবেই কিছুদিন কাটতে না কাটতেই
    যুদ্ধে যাবার ডাক চলে আসতেই
    ডেকে নিলে তুমি বিকেল বেলায় পুকুরঘাটে
    বললে, রাতেই চলে যাচ্ছ দলবেঁধে সীমান্তের ওপারে।
    প্রথমে ট্রেনিং, তারপর যোগ দেবে সন্মুখ সমরে!

    শার্টের পকেট থেকে একখানা রুমালের পুটলি
    ধরিয়ে দিয়ে বললে, আমার মা এর দেয়া মাদুলি,
    পরিয়ে দাও আমায় যেন ফিরে আসি।
    যদি মরি, মা এর দোয়া সাথে নিয়েই মরবো
    মুখে নিয়ে স্বদেশের তরে হাসি মুখখানি!

    আর বলে গেলে, আমার জন্য অপেক্ষা কোরো
    ফিরে এসে দুজন একসাথে ঘর বাঁধবো।
    করবো দেশের জন্য অনেক কাজ
    গড়বো নতুন দেশে নতুন সমাজ।

    মাদুলি পরানোর ছলে, প্রথম স্পর্শ তোমায়
    ,সেই প্রথম সেই দিন ই শেষ।
    অপেক্ষা করে করে পঞ্চাশ বছর পেরোলো
    কতজন এলো তুমি এলেনাকো।

    আশায় আশায় আজও রয়ে গেছি
    মানুষ গড়ার কারিগর হয়েছি।
    নতুন দেশ হলো, নতুন সমাজও।
    কতোকিছু হলো, কতো বদলালো!

    এলেনাকো তুমি দেখলেনা কিছু
    চলেছি আমি সময়ের পিছু পিছু!

    ফাতেমা_হোসেন
    ১৪/১২/২১
    রাত ৯ টা।

  • ভগ্ন-বিশ্বাস!

    তুমি কতটা ঠিক ছিলে তখনও জানিনি
    ভালোবাস বলেছিলে,তাই মিথ্যে ভাবিনি।

    আমি তখন তোমাতে ছিলাম মন্ত্র-মুগ্ধ,
    তোমার কথা সত্যি জেনে করিনি টু শব্দ!

    কতোটা বোকা ছিলাম তখন আমি
    ছেড়েছি প্রিয়জন আর নিজ-ভূমি।

    যখন জেনে গেছ,মনেপ্রাণে হয়েছি তোমার
    করেছ অবহেলা আর তাচ্ছিল্য বারবার!

    এই তোমাকে চিনতে না পেরে নিজেই
    নিজেকে করেছি ঘেন্না আর অবহেলা।
    ক্ষত-বিক্ষত মন নিয়ে কেটেছে কত বেলা!

    তারপর তোমার আসার আশায় দিয়ে জলাঞ্জলি
    লড়াই করে চলেছি নিজের সাথে হয়ে
    ভালোবাসার মিথ্যে আশ্বাসের বলি!

    ফাতেমা_হোসেন।
    ১৪/১২/২১
    রাত ১২. ৫১ মিনিট।

  • হেমন্ত আসে

    হেমন্ত আসে

    হেমন্ত আসে ঘাসের বুকের ঝলমলে শিশির কণায়
    কুঞ্জবনে পুষ্পমঞ্জুরীর লুকোচুরিতে
    পাখপাখালির ঝাপটানো ডানার পালকে পালকে
    পালতোলা নৌকার পাটাতনে
    বালিকা বধুর সিঁথির সিঁদুরে।

    হেমন্ত আসে গোয়ালীনির দুধের উপচানো স্বরের প্রলেপে
    মধ্যাহ্ন দুপুরে স্নানেমত্ত উলঙ্গ বালকের সাঁতরানো জলে
    মেঠোপথে পল্লীবধুর নুপুরের ঝঙ্কারে
    একতারা হাতে বৈষ্ণবীর রূপোর থালে।

    হেমন্ত আসে পূর্ণিমা চাঁদের ঝলসানো আলোয়
    ডালিয়া, গাঁদা,আর সরিষা ক্ষেতে মৌমাছির গুনগুনানিতে
    বিধবার শুভ্র থানের ভাঁজে ভাঁজে
    কাঁচা পাকা ধানের সোনালী সাজে।

    হেমন্ত আসে কৃষাণীর গোলায় ভরা সৌরভে
    পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধে নবান্নের পিঠা পায়েসের বারতায়
    নিকোনো উঠোনে,নাইওরির নায়ে
    মর্মরে ঝরা পাতায়,মহাজনের হালখাতায়।

    হেমন্ত আসে চায়ের কাপে
    মাঝি মাল্লার ভাটির সুরে
    পালাগান,জারিগান বেহুলা লখিন্দরের ভেলায় চড়ে।

    ফরিদা আখ্তার মায়া
    ১০ই ডিসেম্বর, ২০২১ইং

  • উজ্জীবন

    উজ্জীবন

    মানুষ প্রতিনিয়ত ভালো থাকতে চায়…
    অবশ্যই তার নিজের মতো করে, কিন্তু যখন সে তা পারেনা
    তখন ভালো থাকার ইচ্ছেগুলো কমে আসে…
    হয়তো এটাকেই আমরা বিষন্নতা বলি…
    মানুষ তখন নিজের মধ্যে গুটিয়ে যায় অথবা নিজেকে ব্যস্ততার মাঝে আকন্ঠ ডুবিয়ে দেয়…
    ভালো থাকার মুখোশ চেপে দিব্যি ভালো থাকার অভিনয় করে যায়…
    কেউ বোঝেনা ভিতরে ভিতরে তার মনটা আসলে মরে যায়…
    অনেকের মাঝে থেকেও একা হয়ে যায়…
    নীরবতার মাঝেই যেনো ভালো থাকার মন্ত্র খুঁজে বেড়ায়…
    প্রতিনিয়ত নিজের সাথে একাকী থাকায় অভ্যস্ত হয়ে যায়…
    ভালো থাকার সংজ্ঞাটা হয়তো একেকজনের কাছে একেকরকম হতে পারে…
    আমার কাছে ভালো থাকার সংজ্ঞা হলো, কখনো কখনো একাকীত্বও খারাপ না…
    এটারও কিছু পজেটিভ দিক আছে…
    তাই মাঝে মাঝে একা হয়ে যাও নিজেকে চেনার জন্য, বোঝার জন্য…
    তোমার নীরবতার কঠিন ভাষা অন্যকে বোঝার স্পেস দাও…
    এক্সপেকটেশন লেভেল কমিয়ে দাও…
    ভালোবাসা চিনে নিতে যারা ভুল করে তাদের ভুলের সাথেই থাকতে দাও…
    নিজের ইচ্ছেঘুড়িটা উড়াতে পারছোনা আপাতত সুতো কেটে দাও…
    যাপিত জীবনের কাছ থেকে হাত পেতে নতুনত্ব খুঁজে নাও…
    দীর্ঘশ্বাস নয়, মুক্ত বাতাসে মন ভরে শ্বাস নাও…
    চাওয়া পাওয়ার হিসাব মিলাতে যেওনা…
    এক জীবনে মানুষের সব চাওয়া পূর্ন হবে এটা ভাবা বোকামি…
    তবে স্বপ্ন দেখা থেকে বিরত থেকোনা…
    এটা তোমাকে ভালো থাকার রসদ দেবে…
    সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে, বুড়িয়ে যাচ্ছি, জীবনে কিছুই পেলাম না
    এইসব নেগেটিভ আবহ থেকে বের হয়ে আসতে হবে…
    নয়তো সময় ফুরোনোর আগে তুমিই ফুরিয়ে যাবে…
    সময়ের প্রয়োজনে নিজেকেও পরিবর্তন করে নিও
    তবে সেটা যেনো তোমার মনের মতো হয়…
    অবশ্যই অন্যের প্ররোচনায় নয়…
    যে মানুষগুলো সব পরিস্থিতিতে ভালো থাকতে চায়
    প্রকৃতিও তাকে সাহায্য করে…
    তাই মনের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হতে শেখো…
    নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের কোনো সুযোগ হাতছাড়া কোরোনা…
    প্রতিদিন প্রতিক্ষন নিজেকে ভালোবাসো আর
    প্রতিদিন প্রতিক্ষণ ভালো থাকার মন্ত্রে উজ্জীবিত হও…

    শিমু কলি
    ০৩/১২/২০২১ইং

  • আর একটা বার

    আর একটা বার

    কাশ ফুলেরই পাপড়ি গুলো
    উড়িয়ে দিলাম তোমার কাছে
    আর একটাবার আয়না প্রিয়
    আয়না ফিরে আমার কাছে।

    শিমুল তুলার মেঘটি করে
    ভাসিয়ে দিলাম তোর আকাশে
    আর একটাবার ঝর’না প্রিয়
    বৃষ্টি হয়ে এই বুকেতে।

    শীত কুয়াশার চাদর খানা
    বিছিয়ে দিলাম খুব সকালে
    আর একটাবার আয়না প্রিয়
    জড়িয়ে নে তুই উম চাদরে।

    শরতের ই সন্ধ্যা রাতে
    জোছনা ঝরা পূর্ণীমাতে
    আর একটাবার আয় না প্রিয়
    আমার মনের শুভ্রতাতে।

    জোছনার আলো ছড়িয়ে আছে
    ঐ রুপালী চাঁদ
    আরএকটা বার আয়না প্রিয়
    মিটাই মনের স্বাদ।

    শীত সকালে সূর্য দিলো
    মিষ্টি মুধুর হাসি
    আরএকটা বার আয়না প্রিয়
    বলবো ভালোবাসি।

    ফাগুন ঝরা পাতা হয়ে,
    যাও’যে ঝরে এই অবেলায়
    আর একটাবার আয়না প্রিয়
    সাজাই জীবন নতুন ভেলায়।

  • অনুভব

    অনুভব

    যখন ভালোবাসতে চাই
    তখন এলোমেলো করে দাও

    যখন দূরে চলে যেতে চাই
    তখনই কাছে টেনে নাও

    আবার নতুন করে সাজাই
    কত হাসি কত গান গাই
    সুখ দুঃখ ভাগ করে নেই

    স্মৃতি বিজড়িত কিছু সময়
    সাক্ষী হয়ে থাকে দুজনের
    মনের ভাবনাগুলোর মাঝে
    গান হয়ে…

    লীনা
    ২০/১১/২০২১ইং
    সন্ধ্যা ৭:১৫ মি