বৃষ্টি বাদলা
বসে আছি একলা,
মনটার মলাটে
আকাশের ঘোলাটে
এলোমেলো ভাবনা।
কেউ আছো
কেউ আছো?
আসো!
আসো!
করে নিতে আপনা…
বৃষ্টি বাদলা
বসে আছি একলা,
মনটার মলাটে
আকাশের ঘোলাটে
এলোমেলো ভাবনা।
কেউ আছো
কেউ আছো?
আসো!
আসো!
করে নিতে আপনা…
প্রিয়,
একদিন ভালোবেসে কয়েক টি
পত্র তুমি দিয়েছিলে আমায়!
অনূরোধ ছিলো, মনের মাধুরি
মিশিয়ে কয়েক ছত্র যেন লিখি
কিভাবে রেখেছি ভাবনায় তোমায়!
সেই পত্রের শব্দে শব্দে যা ছিল
তা হল শুধুই শিহরণ!
পড়তে পড়তে নিজেই অলখে
উত্তেজনায় কেঁপেছি কতো
শত বার, সহস্র ক্ষণ!
এত্তো সুন্দর করে কেউ কি
লিখতে পারে পত্র!
জানা ছিলো না তখন!
কতো কতো বার নিভৃতে নিরালায়
লুকিয়ে লুকিয়ে পড়েছি
আর আবেশে আছন্ন নিমগ্ন
আমি করেছি উদাসীন আচরণ!
অনেক অনুরোধে, তোমার ই
পত্রের পেছন পাতায়
লিখলাম ভেবে দু চরন!
অভিযোগ করে —
ভালোই যদি বাসেন তবে কেন
আমায় আপনি বলেন?
অভিমান আর অনূযোগের
উত্তরে এল যে কথা –
তা পড়ে আজও ওঠে
আবেগে, শিহরণের উত্তাল
উন্মাদ কথকতা!
যা আজও করে রেখেছি
গোপনে যতনে সংরক্ষণ।
যখনি পেয়েছি ব্যাথা….
অলস কোনো মনখারাপের দিনে
গোপন কুঠুরি থেকে বের করে
পড়েছি কতবার তা!
আর টনিকের মতো
ভালোবাসার শব্দগুলো
ফিরিয়ে দিয়েছে শান্তি
এই চঞ্চল অস্থির মনে।।
উজ্জীবিত হয়ে আবার ফিরেছি
তোমার ই কাছে হয়ে নতুনে।
সাথে আছ তুমি ইতি নয় তাই
যা মুখ ফুটে বলা হয় নি
তা আজ বলে যাই —-
ওগো ভালোবাসা পেয়ে
ভালোবেসেছি তোমায়।
তোমার ই….. নি
ফাতেমা হোসেন
২২/৯/২০২১ ইং
ধরা দেয় গভীর রাতে,
বিভ্রান্ত রাত উদভ্রান্ত।
ধুলি লিপ্ত কল্প বৃত্ত,
বুনন জালে করে আবদ্ধ।
কতো শত স্রোত প্লাবিত,
রক্ত কণায় কম্পন ধাবিত।
নিশুতি কাঁদে ব্যথা জাগে,
হৃদয় শীতল তুষার পাতে।
তাতে থাকে কিছু সঠিক,
বিদেহী মন বেঠিক।
মস্তিষ্ক চক্রে ঘূর্ণাবর্ত,
খুঁজে ফিরে নিশি রিক্ত।
স্বপ্নভঙ্গের করুন রাগ,
ব্যর্থতার পুঞ্জীভূত অনুরাগ।
বিছানা চাদর ওলোট পালোট এটাই বুঝি খাঁটি,
বাকি সত্য আর সব শক্ত পাথর বাটি।
দশমাস দশদিন যে মাতৃজঠরে
বাস আমার
পৃথিবীর আলো দেখবার পর যে
সুতীব্র চিৎকার !
সেই কান্নাও নিশ্চয় মায়েরই ভাষায়
মাতৃভাষার জন্য তাই এত হাহাকার।
এত এত তরুণ শহীদের বলিদান
নাম না জানা কত তরুণের মাঝে,
সালাম বরকত রফিক শফিউর ও জব্বারের
রক্তে রাঙানো ওই শহীদ মিনার।
বাংলায় কথা বলবার অধিকার
যে ভাষায় আমি কথা বলি
স্বপ্ন দেখি বড় হবার ,
পৃথিবীর বুকে নিজের নাম লিখবার
সে আমার বর্ণমালা বাংলা
আমি তোমায় ভালবাসি।
আমি তোমায় নিয়ে কবিতা লিখি
সেই কবিতায় আমি দেশপ্রেমে বাংলাদেশী ,
ছাপান্ন হাজার বর্গমাইল জুড়ে যে বাঙালীর বাস
প্রতিটি বাঙালীর হৃদয়ে ,
শহীদের রক্তে রাঙানো একটি দেশ
আমার প্রিয় বাংলাদেশ সাথে বাংলা ভাষা।
কি করো?
ভাবছি।
কবিতা?
তুমি কবিতা হবে?
আমি এখন কি আছি?
আছো তো।
তো?
তো বলো।
কি বলবো?
ঐ যে – কবিতার কথা। কবিতা হবে?
হবো তো!
সাথে ছবিও হবে? আয়না?
এতো কিছু?
বা রে…
ছবি হবে
কপালে টিপ থাকবে
আঁচল ওড়াবে বাতাসে…
রোমান্টিক! হোক তাহলে।
সমুদ্দুরের মিলনান্তক ঢেউয়ের ফেনায়
পা ভিজে যাবে
ভালোলাগা ভালোবাসার শিহরন
জাগবে মনে।
জীবনে অনেক গুলো প্রেম করছো তুমি?
প্রেম একটাই, তবে
জীবন যে হয় অনেক।
তুমি কোন জীবনের সাথী?
আমি আবার কার সাথী?
সমুদ্দুরের
তুমি শুধু পা ভিজিয়ে যেও
প্রতি সন্ধ্যায়
জেনে যাবে, কথা হবে
বাতাসের সুরে…
ভালো লেগেছে…
আমি চোখ বন্ধ করে রইবো!
আমি নিত্য ভুলে যাই
কারা ভালবাসায় পদ্ম ফোটায়
বরং কষ্টের মেঘগুলিকে
আদর করে বৃষ্টি ঝরাই।
আমি নিত্য ভুলে যাই
বাহারী সকল রঙ পৃথিবীর
কেবল রঙধনুর সাতরঙ
আমার মন কেড়ে নেয়।
আমি নিত্য ভুলে যাই
ছুঁয়ে দিতে নিজ অন্তর
প্রচেষটা আমার প্রতিনিয়ত
ছুঁই আলোয় ভরা প্রতিটি সকাল।
আমি নিত্য ভুলে যাই
স্বপ্ন কিনে নিজ বাড়ি সাজাই
শয়নে সবপনে জাগরণে
রূপকথা আমাকে স্বপ্ন দেখায়।
একাকী পাখি প্রতিবেশীর ছাদে বসে
অনেকক্ষণ ধরে কি যেন গান গাইল
তার সুরে হতাশার বিষন্নতা ছন্দে ছন্দে
এক গীতিকাব্যে পরিবেশ ভারী করে তুললো।
মনোনিবেশ করে শুনলে এবং অতঃপর
অনুবাদ করলে মোটামুটি এই দাঁড়ায়
যে তোমাকে বেশ লেগেছিল ভালো;
যদিনা নাকে নথটা না থাকতো আর
কপালের টিপটা শাড়ির আঁচলের সাথে
হাওয়ার না দুলে উঠতো।
তোমার চোখের সমুদ্রের গভীরতা
জলের ঘনত্ব আর ঢেউয়ের উচ্চতা মাপার
ব্যর্থতার গ্লানি বাতাস ভারী করে
ঘন কালো মেঘে স্থান করে নিয়েছে।
এ কষ্ট এক বর্ষার বরিষণে কমবার নয়
সময়ের চিলেকোঠায় তাকে জায়গা করে দাও।
কখনো সযত্নে সামনে দাঁড় করিয়ে
ভালবাসার কথা শুনাতে পারো
অথবা মন চাইলে অন্ধকারে অযত্নে
অবহেলায় ধুলোমেখে রেখে দিতেও পারো।
Don’t know when
I first noticed the changes?
But it was dramatic and
The world looked different!
The sun didn’t smile anymore
The Sky lost its blue!
Birds disappeared altogether
Clouds angrily soared!
We fought bushfires
Like we did never before!
Earthquakes , cyclones, tornadoes
Shook the earth’s core!
Corona pandemic had to come
People dying,people suffering!
Are these telltale signs,one might ask
Warning from the creator-
most still didn’t grasp!
Aren’t we human beings
supposed to practice humanity?
Still people abuse power-
lying stealing killing -atrocity!
The worst of all is racial discrimination!
Merciless killing Of Floyd
by police in power ignites revolution!
His last words “I can’t breathe“
still echoing in my head!
Oh! How he cried
calling out his dead mother to plead!
In this day and age it’s hard to believe
But Its true -Only colour of skin can decide
Food,education , health,employment
and also where you live!
I only wish and I can only pray
Everyone truely becomes equal one day!!
হারিয়েছি সবকিছু যে
নিঃস্ব হয়েছি আমি।
তাও জানিনা, ছিল কি কিছু
আমার কাছে দামী!
একমুঠো ধুলো,
পরে আছে হৃদ গভীরে..
হয়ে ঘন কালো।
রঙে রাঙানো আঁকবো বলে ছবি,
এনেছি শত রং, যা ছিল সবই।
সাদা কাগজ হয়ে যায় ধূসর,
হবেনা আঁকা আমার রঙিন ঘর।
মাঠের পর মাঠ, চলেছে বহুদূর..
কেন পাইনা শুনতে আমি
সে মধুসুর!
পড়ে রই শিশির বিন্দু হয়ে
দুপুর রোদে যাই শুকিয়ে।
তুমি হয়তো ভাবছো, আমি
অপেক্ষা করি
অপেক্ষারও একটা প্রান্ত থাকে
শেষ প্রান্ত, যেখানে
সব আছে, সব
পাখির ডাকে ঘুম ভাঙে
ভোরের কুসুম আলো ভালোবেসে
উঠোন করে দেয় আমার আলো
হেটে বেড়াই খালি পায়ে ফড়িঙের সাথে
প্রজাপতি উড়ে বসে আমার
বাড়ানো হাতের ‘পরে
তুমি হয়তো ভাবছো, আমি
অপেক্ষা করি, তোমার!
তুমি হেরে গেছো –
ঘুঘু পাখির ডাকের কাছে
ফড়িঙের কাছে
নীল পাখার প্রজাপতির কাছে
জানো, আমি আজ আর একা নই
তবুও ওরা নীল প্রজাপতি ফড়িং
যেতে বলে তোমার কাছে
ভালোবেসে।
ওরা জানে
ওদের সব রঙ আছে
শুধু তোমারই মাঝে
ঘাসফড়িং তুমি
নীল প্রজাপতির রঙ তুমি
সোনালী উষা গোধুলী রূপোলী চাঁদ তুমি
কেন?