Tag: কবিতা

  • বসন্তের ভালোবাসা

    বসন্তের ভালোবাসা

    তোমার প্রেমে অন্ধ হলাম,
    ফুলের গন্ধে মন মাতালাম।
    একগুচ্ছ ফুল নিলাম,
    তোমার খোঁপায় গেঁথে দিলাম।

    ফাগুনের হাওয়া লাগলো মনে,
    বাতুল করলে মনের টানে।
    ভালোবাসায় জড়িয়ে নিলাম,
    তোমায় আমি স্বীয় মনে।

    তোমার নামে বসন্ত নামাই,
    লাগুক প্রাণের ছোঁয়া।
    আসুক না কলো ধোঁয়া,
    রঙিন রবে মনের ছোঁয়া।

    বসন্তের এই আগমনে,
    ভালোবাসার শীতল পরশে।
    পাশে রবে আজীবন,
    ভালোবেসে আর ভালবেসে।

    অর্পণ বড়ুয়া

  • নিরাশার কিনারে বসন্ত

    নিরাশার কিনারে বসন্ত

    তুমি ছিলে না বলে আমারই পাশে
    দিন শেষে বসন্ত চলে গেল অবশেষে।

    কোকিলের কুহু ডাক শুনিল না কান
    নৃত্যগীতে আনিল না মনে কোন টান।

    ভালবাসার ইচ্ছে পাখিরা গেল উড়ে আকাসে
    নীল কষ্ট ফিসফাস করছে তাই মনের বাতাসে।

    জাগিয়া উঠিল না মন উথলিয়া উঠিল না প্রাণে
    বসন্ত এসে চলে গেল না জানি কিসের টানে।

    ঝরা পাতায় গেল না দেখা সবুজের মিতালি
    মনেতে বীণার ঝংকারে শুধু আকুলি বিকুলি।

    ভ্রমরেরা উড়িল না ফুলের রেণুতে রেণুতে
    ফুটিল না ফুলেরা তাই কনে দেখা আলোতে।

    দেখেছিলেম স্বপ্ন বেড়াবো বসন্তের ভালবাসায়
    মলিন হলো অপেক্ষারা তুমি আশার নিরাশায়।

    গোধূলির আবীর রাঙিয়ে দিল না মনের মেলায়
    বসন্ত এসে চলে গেল আজ তোমারই অবহেলায়।

    স্মরণিকা চৌধুরী
    ১৫/২/২২

  • বসন্ত এসে গেছে

    বসন্ত এসে গেছে

    মনে হয় শুধু আমাকেই ছুঁয়ে রবে
    ভালোবাসা প্রেমে,
    তাই এতো আয়োজন
    ওই বকুলতলায়,
    মানব মানবীর অব্যক্ত কথা
    মনের মাধুরী মিশিয়ে
    ভালোবাসা হয়।
    ফুলে ফুলে ছেয়ে রয় ওই রাজপথ
    সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বাঙলা একাডেমি
    ভালোবাসা প্রেম ফুল হয়ে ফুটে রয়।

    শত শত মুখের ভীড়ে খুঁজে ফিরি
    ওই মুখ তোমার,
    যে অপেক্ষায় ,গোলাপের পসরা সাজিয়ে
    আমি নীল হলুদ শাড়ীর আচঁল উড়িয়ে
    কবিতার বই হাতে একাকী দাড়িয়ে।

    অপেক্ষায় এক ফাল্গুনী গানের
    বসন্ত এসে গেছে!
    কবি ,এবার তোমার কবিতা বিলাও
    সকলের মাঝে আপন অন্তরের,
    যে অন্তর রয় অব্যক্ত কথায়
    লেখনির ভাষায় কবিতা হয়ে।

  • ভালবাসিতে দাও মোরে

    ভালবাসিতে দাও মোরে

    আজো দাঁড়িয়ে আছি সেই শিরিষ গাছের ছায়াতলে,
    প্রেমিকের অপেক্ষায় অধীর মনে
    বলেছিল সে আসিবে, এক মুঠো ভালবাসা নিয়ে
    সে থেকে অপেক্ষিত ক্লান্ত মন আছে যে ঠাঁই দাঁড়িয়ে।

    স্বপ্ন দেখা তরুণীর জেগেছে যে মনে স্বপ্ন বাসর
    আবিষ্ট চিত্তের বৃত্তে মনে চলে রঙের ও আসর।

    কনে দেখা আলোয়
    রাঙা প্রভাতের কিরণ প্রাতে
    একগুচ্ছ লাল গোলাপ নিয়ে হাতে
    ভালবাসি বলিবে তারে
    হাসি মাখানো ঝিলিক চোখে
    মুগ্ধতার আবেশে তরুণীর মন
    রাঙিবে যে আনন্দলোকে।

    ঘন্টার পর ঘন্টা যায় মিনিট হয়ে পড়ে ক্লান্ত
    তরুণী তবু অপেক্ষায় থাকে মন যে পরিশ্রান্ত।

    এমনি করে সারাবেলা কাটে অপেক্ষার প্রহরে
    ভালবাসা দিবস চলে যায় প্রতিবছর বেদনার শিয়রে।

    তরুণীর অদূরে দাঁড়িয়ে থাকে তেমনই এক যুবক
    অপেক্ষা ও তাকে ফাঁকি দিয়ে হৃদয় কে করে নরক।

    অবশেষে বিধাতা ব্যাথাতুর হয়
    দু প্রেমিকের আকুলতায়
    দুজনের চোখাচোখি তে অলক্ষ্যে মনের কিনারে
    পরস্পরের প্রতি ভালবাসার পরশ বুলিয়ে যায়।

    নিরুত্তাপ মনে অকস্মাৎ জাগে তাই প্রেম
    দন্ডায়মান তরুণীর প্রেমের মায়ায়
    লাল গোলাপের গুচ্ছটি দিল যে তরুন
    লাজে মাখা তরুণীর ভালবাসার ছায়ায়।

    বলিল সে ভালবাসিবার দাও হে মোরে
    অনুরাগের ছোঁয়াতে
    সারাজীবন অপেক্ষারা হাসিবে
    আমাদের ভালবাসার মেলাতে।

    স্মরণিকা চৌধুরী
    ১৪/২/২২

  • ভালবাসার খোয়াব

    ভালবাসার খোয়াব

    বিভান্ত আগামি আগুন্তকঃ সময়ের কাছে
    পিয়াসী সবুজের স্বপ্ন চায়
    দুর্গম গিরিপথে জীবানুর কোলাহলে সব অধ্যাবসায়ে মাস্ক আটে পাছে!
    তাড়িয়ে বেড়ানো সব ভালবাসার ইতিহাস—
    পুকুর ঘাটে অন্তরঙ্গ হয়ে বসার অজুহাতে
    ঝড়া পাতার মর্মরতা কাদে রমনার বেঞ্চিতে
    লালবাগের কেল্লার আধারে
    আদিম সব আশার চোখে দেখা সর্বনাশ।
    অবারিত ইস্টকের মাঝে কবিতার পাথুড়ে নিবাস ঠেলে,
    আমি তোমার হাত ধরে এগিয়ে যাই বাংলা একাডেমির মেলা পেরিয়ে
    বইয়ের পাতায় দেখা শব্দ বাক্যের উন্নাসিকতায়.. ।
    রাতের কথা বলে তুমিই গেলে চলে
    আমায় একা
    ফেলে—
    নিঃসঙ্গ চাদের বুকে আমি স্মৃতির কালো আকাশে
    এখনো সেই অতীতকে খুজি!
    যদি জলের মেয়ে কাজলদিঘী উচিয়ে বলে
    ভালবাসি
    আবৃত্তির দমকে দুলে উঠা শরীরে
    আজো হারিয়ে ফেলা জীবন দেখে চোখ বুজি।

    @আসিফ রহিম

  • নতুন পথে যাত্রা

    নতুন পথে যাত্রা

    কংক্রিটের এ নগর ছেড়ে
    নতুন পথের সন্ধানে নামি
    এ শহর বড় বেশি অমানবিক
    তাই ছুঁটে চলি নতুন গন্তব্যে।
    চোখে ভাসে সেই মাটির পথ
    এঁকেবেঁকে চলে গেছে সীমান্তের পারে
    সেই পথ আজ কি তেমন আছে?
    সেতো হারিয়েছে সেই কবে।
    আজ সেখানে পিচধালা কালো পথে
    মানুষ আর হেটে যায়না বাড়ি।
    আগের সে পথ বড় বেশি মনে পড়ে।

    গ্রাম থেকে শহর
    মাঝে অনেকটা সময়
    পাথরের নগরে প্রাণ খোঁজা ভ্রান্তিবিলাস
    তবু অনেকটা দিন খুঁজেছি
    অনেকটা পথ হেটেছি এই নগরে
    সেই মায়াভরা মাটির ঘ্রাণ পাইনি কখনো
    কৃত্তিমতায় ডুবে থাকা মানুষদের থেকে
    দুরেই তাই যাচ্ছি চলে।

    মেশিনের মতো আর ইছে করেনা চলতে
    আর ইচ্ছে করেনা মেলামাইনের প্লেটে ভাত খেতে
    যন্ত্রচালিত বাহনে আর ইচ্ছে করেনা উঠতে
    আর করেনা ইচ্ছে অন্যের মতো করে বাচতে
    ইচ্ছে করে মাটির কলস থেকে জল নিতে
    ইচ্ছে করে স্রোতের সাথে কাটতে সাতার
    পাহাড়ে, বনে, নদীতে ঘর বানাতে।

    আমার ভীষণ ইচ্ছে করে
    তাই নতুন পথে যাত্রা শুরু
    নতুন করেই বাঁচার ইচ্ছে
    নতুন স্বপ্নে হারানোর অভিপ্রায়ে
    আকাশের বুকে ছবি আঁকতে।

  • মানব সভ্যতা

    মানব সভ্যতা

    ধরণীর বুকে জন্ম নিয়েছি, পেয়েছি এক সভ‍্যতা।
    শস‍্য, শ‍্যামল, সুজলা, সুফলা, আর এই মানবতা।
    মানব রূপি মুখোশ পড়ে, গায় মোরা মানবতার গান।
    ভাগ করেছি, নিজেরাই নিজেকে, কোথায় তার সমাধান?
    জাতির নামে কলঙ্কিত মোরা, কোথায় জাতির মান?
    মানব জাতিকে করছি ধংস, মুখোশের আডালে যত শয়তান।
    আনাথ আশ্রম গড়েছি মোরা, মাতৃ, পিতৃ হীনদের রাখতে সম্মান।
    বৃদ্ধাশ্রম গড়েছি, সমাধান মোরা করেছি, এই তো মানব কল‍্যান।
    একদিন ছিলাম মোরা নিরস্ত্র, তাই গড়েছি বাহিনী সশস্ত্র।
    পোশাক ছিল, গাছের ছাল, পাতা, পশুদের চামড়া, আজ আছে আধুনিক বস্ত্র।
    হাট, বাজার, ও বাসস্থান, সবই ছিল জঙ্গল মহল।
    গড়েছি মোরা শহর, নগর, হাট বাজার যে শপিংমল।
    অন্ধকার ধ‍রণী আজ, আলোকিত জ‍্যোৎস্নায়।
    কলুষিত হয়েছি মোরা এই আধুনিক সভ‍্যতায়।
    শিক্ষা ছিল গুরুগৃহের আঙিনা, পন্ডিতের পাঠশালায়।
    মোরা গড়েছি, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ‍্যালয়, পুরাতন স্মৃতি দিয়েছি বিদায়।

    তৈয়েবুর রহমান
    ১২/০২/২০২২

  • স্বপ্নের উড়ান

    স্বপ্নের উড়ান

    উড়তে আমি ভালোবাসি
    উড়ি আমি সদা।
    বসলে আবার ইচ্ছে জাগে
    কেনো বসা অযথা।
    ডালি উপচে ভেসে ওঠে
    আমার সূক্ষ্ম বাসনা।
    কখন পাবো তার দেখা
    ভুলবে আমার অনুশোচনা।
    ডানা প্রসারিত বল বাড়ন্ত
    এখন দেখ উড়ন্ত।
    সীমাহীন গগনে কোন স্থানে
    জিজ্ঞেস করি কাকে।
    কেন আজ উদাসী হাওয়ায়
    মেঘে দের আনাগোনা।
    তাঁরা মুক্তির অপেক্ষায় রত
    জানাতে মনের ব্যথা।
    হৃদয় ভরা প্রেমের গাঁথা
    নিবেদনে গোপন কথা।
    তাঁরামন্ডলে প্রস্ফুটিত ফুলের রেখা
    রেণু মিলন ভাগ্যলেখা।
    গগন ভুলে গড়ে উঠলো
    ছোট্ট ভাবনার কূল।
    এই কূলে আসলো শেষে
    জীবন চক্রের অকথিত ভুল।

  • ক্ষুদে চাষী

    ক্ষুদে চাষী

    জমি কিছু আছে তাই
    আমি অসহায় এক ক্ষুদে চাষী।

    মাঠে ভরা ধান সোনালী ফসল
    মোরা কত ভালবাসি।

    গরু দুটি ছিল বিদায় দিয়েছি
    ভরসা যে ট্রাকটরে।

    জৈব সার খুঁজে মিলে না আর
    সবই আজ রাসায়নিক সারে।

    ধান গুলি সব শোষক পোকায়
    করছে যেন শেষ।

    তার পরেতে অকাল বৃষ্টি
    ধরেছে তাহার বেশ।

    আমি অসহায় এক ক্ষুদে চাষী
    চাষ ই আমার ধর্ম।

    চাষ ছাড়া যে নেই উপায় আর
    এটাই আমার কর্ম।

    কাস্তে গুলি সব কাঁদছে বসে
    আমরা বেকার হলাম।

    লাঙল জোয়াল তারা ও বলে
    মোরা তোমার পথে এলাম।

    গরু গাড়ি তার কথা
    আর কি বলা যায়।

    কোথায় যেন হারিয়ে গেছে
    আর কি দেখা পাই।

    শ্রান্ত ক্লান্ত আমি
    মুখে ফুটবে কি আর হাসি।

    সর্বহারা হয়েছি আজ
    অসহায় ক্ষুদে চাষী।

    তৈয়েবুর রহমান
    ১১/০২/২০২২

  • বেহিসেবী কাব্য

    বেহিসেবী কাব্য

    ঝরা পাতা ঝরে যাক
    স্মৃতিগুলো পড়ে থাক,
    অবহেলে ঝুলে থাকা
    ইচ্ছেরা উড়ে যাক…

    অব্যক্ত কথাগুলো
    না বলাই থেকে যাক,
    লুকানো সে বেদনা
    আড়ালেই থেকে যাক…

    উড়ে চলা পাখি মন
    খাঁচাতেই পোরা থাক,
    নিয়মের পাল তোলা
    নৌকাটা ভেসে যাক…

    ফাগুনের আলো এসে
    ধোঁয়াশাটা কেটে যাক,
    হিসেবী ভালোবাসা
    বেহিসেবী হয়ে যাক…

    দ্বিচারিণী পোড়া মন
    জ্বলে যাক পুড়ে যাক,
    পরবাসী স্বপ্নরা…
    আধোঘুমে জেগে থাক;

    অভিমানী ক্যানভাসে
    সব রঙ ছুয়ে যাক,
    রংধনু আকাশে…
    মেঘফুল ঝরে যাক;

    নতুনের মোড়কে
    পুরোনো সে প্রেম থাক,
    সুপ্ত সে ভালোবাসা
    উষ্ণতা খুঁজে পাক।