Tag: কবিতা

  • একুশ এলেই

    একুশ এলেই

    একুশ মানেই ৫২ এর রক্ত ঝরানো বাংলার সন্তান
    বুলেট বিদ্ধ হাজারো তরুনের নিভে গেল তাজা প্রাণ।

    একুশ এলেই মনে পড়ে তাই দামালের বীরত্ব কথা
    তাদের স্মরণে স্মরিত হয় অমর বীরগাথা।

    লক্ষ কোটির ভাইয়ের মিছিলে অম্লান তারা।
    বুকের রক্তে ছিনিয়ে এনেছিল মায়ের ভাষা যারা।

    অপারেজয় বাংলার তরুণেরা দিয়েছিল যে প্রাণ
    কখনো ভুলিতে দিব না মোরা তাদের আত্মদান।

    হাজার লক্ষ কোটি বছর থাকবে মোদের মাঝে
    পুষ্প দিয়ে পূজিত হবে সকাল সন্ধ্যা সাঁজে।

    শহীদ হতে বাধেনি যাদের বেঁচে আছে স্মরণে
    অমলিন তারা জীবন সংগ্রামে সম্মেলনের বরণে।

    একুশ মানেই ভাই হারানো বেদনার স্মৃতি
    বর্ণমালায় লেখা হয় ভাষা সৈনিকের গীতি।

    একুশ এলেই পালিত হয় ভাষা দিবস
    মোমের আলোয় পেয়ে যাই ত্যাগের পরশ।

    একুশ মানেই পলাশ ফুলের রক্ত ঝরার ইতিহাস
    ছেলে হারানোর বেদনা ভরা মায়ের আকুল নিঃশ্বাস।

    ভুলিতে পারিব না মোরা ভাইয়ের রক্তের রাঙানো ফেব্রুয়ারী
    একুশ এলেই মনে পড়ে ভাই হারানোর বোনের আহাজারি।

    বিশ্ব দরবারে ভাষা পেল তাই আত্ম ত্যাগের স্মারক
    যুগ হতে যুগান্তরে উন্মোচিত হবে মাতৃভাষার নতুন মোড়ক।

  • আত্মতৃপ্ত রয়

    আত্মতৃপ্ত রয়

    আমি কান পেতে শুনি
    দিচ্ছে ডাক
    আয় আমার বান্দা আয়
    আমাকে ডাক
    জগত জুড়ে বিস্তৃত পথ
    দিচ্ছে হাঁক
    আমার হুকুম পালন কর
    নয় নাপাক।

    আমি আঁড়ি পেতে শুনি
    আল্লাহর বাণী
    কি মধুর আজানের ধ্বনি
    জ্বলছে ঐশী বাণী
    কি মধুর সুরের লহরী
    কণ্ঠে জয়ধ্বনি
    কণ্ঠে কণ্ঠে শব্দের ঝনঝনানি
    কোরআনের বাণী।

    সিনা চাক্ক সিনা চাক্ক
    বেড়িয়ে আয়
    শরীরের মধ্যে কি আবির্ভাব
    শিহরণ জাগায়
    হে মুহাম্মদ রাসুল সঃ
    কিসের ভয়
    জিব্রাইল হুকুম পালন কর
    রাসুলের সিনায়।

    যত শুনবে তত মজিবে
    ভালবাসার হৃদয়
    তৃপ্তি যেন মেটে না কভু
    বারবার সুধায়
    তোমার মহান অনুগ্রহ আজ
    আমাদের ক্ষুধায়
    তোমার বাণী সত্য বাণী
    আত্মতৃপ্ত রয়।

    মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ
    ঢাকা, বাংলাদেশ।
    তারিখ- ২০/০২/২০২২,খ্রিস্টাব্দ।

  • ফেরারি অতিথি

    ফেরারি অতিথি

    নির্বাসিত সময়টাকে উপভোগ করছি
    নিজস্ব ঢং-য়ে আর নিজস্ব ভাবনায়
    শব্দকোষ থেকে অনেকটা দূরে
    যান্ত্রিক শব্দের অনির্বচনীয় সুধারসে
    ডুবে ডুবে কোটি মানুষের নগরে বিমূঢ় আমি -!

    এখানে আন্তরিকতাহীন ধাক্কাধাক্কি এবং তা অন্তবিহীন; মুখোমুখি অথচ সবাই বিপরীতমুখী
    আকাশছোঁয়ার অবিরাম প্রতিযোগিতা আবার পাতালফুঁড়ে অজস্র জীবনের নিয়মিত বসবাস-

    এখানেই ইতিহাস জন্ম নেয়
    এখানেই নেতৃত্বের আবাদ হয়
    এখানেই কবিদের কল্পনার আসর
    এখানেই ভালোবাসা প্রেমের জোয়ার
    খুনোখুনি বিরহের বাজার –

    ওমিক্রনকে পাশকেটে আধভাঙা চাঁদটাকে
    বুকে করে ফুটপাত ধরে যতদূর দৃষ্টি –
    নানান আকৃতির, নানান বর্ণের মানুষ আর মানুষ ;
    আমিও দূর থেকে আসা ভিখিরি সময়ের
    ফেরারি অতিথি এক -!

  • বিক্ষিপ্ত বসন্ত

    বিক্ষিপ্ত বসন্ত

    একটা বুড়ো বসন্ত ঝরে যাওয়া পলাশের কথা বলে ; খোঁজে বিগত দিনের হারানো শৈশব-
    পদদলিত একটি আস্ত শিমুলের বুকে তখন
    কান্নার শেষ রাত্রি
    ভোরের অপেক্ষায় রাতজাগা ব্যর্থ চোখ দুটো
    বসন্ত খোঁজে, অবসাদগ্রস্থ অন্তরে শিহরণ তুলতে চায়—!

    মুখের ভরাট পেশীতে অনাকাঙ্ক্ষিত দাগ
    চুলের গোড়ায় হাজারবছর আগেকার
    এক শেষ বসন্তের গোধূলি;
    প্রিয়জন আজও মধ্য-যৌবনের গান শুনতে চায় –

    প্রিয়তম রাত অভিসার থেকে ফেরে
    সপ্তর্ষির অনিমিখ দৃষ্টিতে পুরো রাতের ক্লান্তি তখন-
    ছায়াপথের বিস্তীর্ণ অনুভবে বিক্ষিপ্ত ব্যঞ্জনা
    ঘোরলাগা রাতে তখন বয়েসী বসন্তের আহ্বান – !

  • সত্যি বলতে পার?

    সত্যি বলতে পার?

    সকল মানুষ নয় উঁচু নিচু
    সমাজে কিছু বিত্তশালী
    তাদের সৃষ্টি জাতির বিভেদ
    সমাজ নামের কালি।

    তাঁরা মানুষের পার্থক্য করে
    বানায় জাত প্রথা
    বিলাসী জীবন তৈরি করে
    উঁচু নিচু তথা।

    ঈশ্বর বল ভগবান বল
    এক নিয়মে আসে
    যাবার সময় যায় চলে
    বদলাবে কোন জাতে।

    ভাললাগা ভালবাসা জাত প্রথা
    বোঝে না প্রেমিক
    বিভেদ শুধু ধনী গরিবে
    এটাই তার প্রতিক।

    অহংকার করে অহংকারী
    সম্পদের বিচার করে
    পাগল বানায় জীবন খেলায়
    ক্ষমতা প্রয়োগ করে।

    কামনা বাসনা পূর্ণ করে
    পৃথিবী করে কলঙ্কিত
    ঘুমের ঘোরে শঙ্কিত দেহ
    নিস্তেজ অসুর লুণ্ঠিত।

    বানানো খেলা কল্পিত অধ্যায়
    রচনা কাল্পনিক ছায়াছবি
    ভন্ড প্রতারক ঠাকুর সাজে
    সাধারন মানুষের দুর্গতি।

    মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে
    আপন ভূবন ঘরে
    জীবন নৈকা ডুবে গেলে
    বংশের ঠাকুর ঘরে।

    রাজ সিংহাসন উচ্চ বিত্ত
    প্রভু নিজেকে বলে
    মানুষ তৈরি করতে পার না
    কেমনে প্রভু তাহলে?

    কপাল পোড়া মানুষ গুলো
    মিথ্যা নিয়ে থাকে
    এটা নাকি বংশের হিসাব
    নিজেকে ছোট ভাবে।

    আফসোস করি জ্ঞানীদের জন্য
    জাত প্রথা কেন?
    তোমাদের সৃষ্টিকর্তা ভিন্ন আছে
    সত্যি বলতে পার?

    জাত বংশ মানব সৃষ্টি
    খোদার সৃষ্টি নয়
    রক্ত মাংসের মানুষ সবে
    সাদা কালো বিদায়।

    মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ
    ঢাকা, বাংলাদেশ।
    তারিখ- ১৯/০২/২০২২, খ্রিস্টাব্দ।

  • মখমলি চাদরে প্রেয়সী

    মখমলি চাদরে প্রেয়সী

    শীতের সকালের মিষ্টি আলোয়
    শিশির যখন ঝিলমিলিয়ে হাঁসে,
    সে সৌন্দর্যে ডুবে গিয়ে,
    আমি কবিতার ডায়েরিতে
    মনোনিবেশ করি আর
    তন্ময় হয়ে ভাবি,
    ঠিক তখনই হৃদয়ের দূয়ারে
    এসে দাঁড়াও তুমি।

    আমার হৃদয় নদীতে তখন
    ঢেউ জাগে তোমায় ভেবে,
    আমার হৃদয় পটে
    ভেসে ওঠে যেন…
    তুমি সে ঝিলমিল শিশিরে
    আলতা পায়ে নুপুর পরে
    তোমার পা ফেলেছো সেথায়,
    সে শিশির ভেজা ঝলমলে
    মখমলি চাদরে।

    আহা কি অপরূপ মায়াময় সে ক্ষনটি!
    সে সৌন্দর্যের মুগ্ধতায়
    আমি চেয়ে চেয়ে দেখতে থাকি তোমায়
    কল্পনায় আমি তোমার সাথে
    সে শিশির ঝরা ঘাসের উপর
    হেটে অনেক দূর চলে যাই
    তোমার হাত ধরে ধরে,
    সে স্মৃতি নিয়ে আমি
    আজ তবে লিখবো কবিতা।

    হ্যাঁ, আমি লিখবো অনেক কিছু
    তোমায় নিয়ে, তোমায় ঘিরে।
    তবে ডায়েরির পাতায় নয়,
    হৃদয় ডায়েরিতে ধারন করে রাখবো
    সে প্রাণচঞ্চল অনুভুতিকে।
    আমার অনুভুতিতে প্রেয়সী তুমিযে
    শিশির ঝরা ঝলমলে মখমলি চাদর
    হয়ে আছো, থাকবে চিরকাল।

    ১৮ই ফেব্রুয়ারী ২০২২
    সময় সকাল- ৮ঃ৩০মিনিট

  • উদ্দেশ্যহীন পথের পথিক

    উদ্দেশ্যহীন পথের পথিক

    একসময় জীবনের একটি লক্ষ্য ছিলো।
    সেই লক্ষ্য পূরণে উদ্দেশ্য নিয়ে কতশত পথ
    একটা উৎ ফুল্লতা নিয়ে পাড়ি দিয়েছি,
    সেই শক্তির কাছে হারমেনে ক্লান্তিও ক্লান্ত হয়ে গেছে!
    আজ জীবন সায়াহ্নতে এসে পেছন ফিরে তাকিয়ে
    নিজে থেকেই অবাক হয়ে যায়!
    ওটা কি আমি ছিলাম, অথবা আমরা দুজন!
    ঐ দূর্গম পথটি কিভাবে পাড়ি দিয়ে এসেছি এতো শতদিন!
    তিল তিল করে গড়ে তোলা স্বপ্ন ‘ভালোবাসাদের
    কৃতিত্ব সন্মান সযতনে আগলে রেখেছি ঝেড়ে মুছে কত কত দিন।
    স্মৃতি বড়ো মধুর! একঝটকায় কেড়ে নিয়ে গেছ
    মরুভূমির মতো খাঁখাঁ করে এই বুকের ভেতর!
    হয়তো বোঝনি কতখানি খালি হয়ে গেছে বুকের পাজর!
    তবুও দোয়া করি ভালো থেকো
    মুছে ফেলে দুঃস্মৃতি
    মাথায় খ্যাতির মুকুটে যুক্ত হোক আরও শত
    অর্জনের পালক!
    উদ্দেশ্যহীন পথের বাকিটুকু পথ কেটে যাক নিত্য মোর
    ক্ষমা ও দোয়া প্রার্থনায়!

    ফাতেমা_হোসেন
    ১৮/২/২২

  • অফুরান কথামালা

    অফুরান কথামালা

    কী ভীষন শূন্যতা নিদারুন হাহাকার
    মনের গভীরে তোমায় ঘিরে,
    তুমি তা জানবে না কোনো দিন
    সাগর কি জানে নদীর বেদনা!
    কেনো ছুটে চলা তার
    ভেঙে জনপদ প্রান্তর,
    কত প্রবল স্রোতধারায়
    অবিরাম গতিতে একাকী শূন্যতায়।

    ভালোবাসার প্রবল আকাংখায়
    শব্দের অফুরান কথামালা,
    মনের অব্যক্ত বেদনায়
    জানা হয় না তা তোমার
    বা জানতেও চাও না তুমি।
    যে ফুল ফোটে ঝরে যায়
    ধরনীর বুকে চরম অবহেলায়
    সেই সুবাস কি বেঁচে রয় অন্তরে সবার!
    ফুল কী তা দেখতে পায়!

    তবুও ফুল ফোটে প্রতিদিন
    সুবাস বিলায় ঝরে যায়,
    আমি ও বেঁচে রই একাকী
    তোমাকে ভালোবেসে সুন্দর ধরনীর বুকে
    খান্ডব দহনের অব্যক্ত যন্ত্রনায়।

  • কাষ্ঠল মলাট

    কাষ্ঠল মলাট

    স্রষ্টার সুনিপুণ কারুকার্য তার ভূবণমোহিনী হাসি
    কোন শিকলে বন্দী বিষন্নতার ভালবাসা।

    বাদল শেষে রং ধনুর সাত রং আচমকা’ই হারিয়ে যায়।
    আজকাল হারানো অনুভূতি গুলো বড্ড বেশি ভোতা!

    কাষ্ঠল মলাটে ঢাকা পড়েছে মন
    ভিতরকার অনুভূতিতে মরিচা ধরেছে।

    নির্মোহ ভালবাসা উদারতায় ভরা খোলা আকাশ,
    ভীষণ মেঘ জমেছে!
    মেঘ শঙ্খচিল হয়ে নেমে এসো।

    নেমে এসো নিঃসার্থ ভালবাসার গহীন অরণ্যে
    বৃষ্টি হয়ে না হয় টুপটাপ ঝরো।

    ফাগুনের আগুন লেগেছে বসন্ত বাতায়নে।
    দমকা বৃষ্টির এক ঝটকায় নিভিয়ে দাও আগুন।

    নিভিয়ে দাও কৃষ্ণচূড়া বৃষ্টি হয়ে
    পলাশ শিমুলের রক্তিম ডাল ধুয়ে দাও।

    ধুয়ে দাও তোমার সুনিপুণ কারুকার্যে
    মুছে দাও প্রণয়াকাঙ্ক্ষি মনের বিষন্ন ভালবাসা।

    ফৌজিয়া সুলতানা
    ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২২ইং

  • ভালোবাসা মানে কি?

    ভালোবাসা মানে কি?

    ভালোবাসা মানে কি?
    সারাটা দিন শুধু তোমার কথা ভাবা!
    নাকি সবার মাঝে থেকেও,
    তোমার অনুপস্থিতিতে নিজেকে একা পাওয়া।
    ভালোবাসা মানে কি শুধু মুখে বার বার বলা।
    যে তোমায় ভালোবাসি।
    নাকি শুধু একটি বার মন থেকে বলা।
    তোমায় ছেড়ে কোথাও যাবো না।
    ভালোবাসা মানে কি শুধু হাতে হাত রেখে একটু পথ চলা।
    নাকি একবার ধরা হাতটা আর ছাড়বো না এই অঙ্গীকার করা।
    ভালোবাসা হলো একটা অনুভূতি,
    অন্য সবার কাছ থেকে আলাদা হয়ে কাউকে গড়ে তোলা এক নতুন পৃথিবী।
    একটু খানি হাসি ,
    আর একটু খানি দুঃখ নিয়ে,
    গুটি গুটি পায়ে পরস্পরের সাথে জীবনের শেষ পর্যন্তের চলা।
    ভালোবাসা মানে বুঝি এমনি তোমার অনুপস্থিতি আমাকে কুড়ে কুড়ে খাওয়া।
    ভালোবাসা বুঝি এমনি যা সত্যি কোন ও অনুভূতি দিয়ে বর্ননা করা যায় না।
    ভালোবাসা বুঝি এমনি ।
    তোমার অনুপস্থিতির নিষ্ঠুর সময় টা আমাকে বুঝিয়ে দেয় কতটা ভালবাসি তোমায়।
    তোমার অনুপস্থিতি আমাকে বুঝিয়ে দেয় তুমি ছাড়া আমি বড় একা।
    বিশ্বাস করো অনেক ভালোবাসি তোমায়।
    আমার অনুপস্থিতি ও একদিন তুমি বুঝবে,
    কতটা ভালোবেসেছিলাম আমি তোমায়।
    হয়তো আমি তখন থাকবনা।
    হয়তো চলে যাবো অনেক দূরে তখন তুমি খুজবে আমায়‌।
    পড়ে থাকবে আমার স্মৃতিগুলো,
    যা তোমাকে কুড়ে কুড়ে শেষ করে দিবে।
    সত্যি বলছি অনেক ভালোবাসি তোমায়।
    ভালো থেকো “Mis you!”