Tag: কবিতা

  • কদম গুচ্ছ কবিতা

    কদম গুচ্ছ কবিতা

    যদি এ বর্ষায় কদম ফুল না ফুটে
    তা হলে কি তোমার সঙ্গে আমার
    হবে না দেখা,
    অনেক অগণন সময় অপেক্ষা না প্রতিক্ষা করেছি
    তোমার সঙ্গে দেখা হোক
    তোমার সঙ্গে কথা হোক
    কদম গুচ্ছ নাই বা থাকুক
    কদম ফুল না ই বা ফুটুক।

    যদি এ বর্ষায় ঝুম বৃষ্টি না হয়
    তোমার সঙ্গে আমার বৃষ্টি তে ভেঁজা হবে না,
    না হোক ঝুম বৃষ্টি, আকাশ ছেঁড়া বৃষ্টি,
    তবু ও তোমার সঙ্গে দেখা হোক
    তোমার সঙ্গে কথা হোক
    না হলো বৃষ্টি তে ভেঁজা।

    তবুও ও
    তুমি স্পর্শ করে আছো দিন মাস বছর, দেয়ালে ঝুলানো ক্যালেন্ডার,
    যদিও আষাঢ়ে বৃষ্টি না হোক
    যদি বর্ষায় কদম ফুল না ফুটুক,
    ঝুম বৃষ্টি রা ভুলে যাক তবুও।

    এক গুচ্ছ কদম ফুলের কবিতা লিখে এনো কবি।

    শাহানা জেসমিন
    ২১/৮/২০২২

  • অপেক্ষার বৃষ্টি জলে

    অপেক্ষার বৃষ্টি জলে

    দহনে দহিত মন, নিরবধি কোন্দল,
    ফেলে যাও পদচিহ্ন ,
    বিস্মৃতির বালুকা বেলায়,
    কোমল হৃদয় কোণ, ক্ষরিত সর্বক্ষণ,
    জ্বলে যায় দিবানিশি তুষের আগুন।

    বোঝাতে পারেনি আমি,
    কত যে আপন তুমি,
    দিয়ে গেছো নির্বাসন, সুখেরই মোহে,
    পেয়েছো কি সেই সুখ,
    যে সুখ ছিল না কভু, এ দুটি প্রাণ মন্দিরে।

    সময়ের স্রোতে বাঁধা, জীবনের অলিগলি,
    মুছে যায় কত কিছু গড্ডালিকা প্রবাহে,
    আমি মূক বধির বলে এখনো পারিনি পাল্টাতে-
    তোমাদের এই নান্দনিক বেশভূষা ভ্রমে।

    ভালোবাসি ভালোবাসি কত যে ভালোবাসি,
    শুধু জানে এই পাললিক মন,
    বিনিদ্র রাত জাগে, অপেক্ষায় প্রহর কাটে,
    অমানিশার মেঘ বুঝি সরে না আজো।

    তোমার চৈতন্য আকাশে-
    কভু ভালোবাসা ফিরে আসে,
    দাঁড়িও তুমি ফিরে স্ববদ্ধ দরজার এপাশে,
    আমি ঠিক বুঝে নেবো আবারও এসেছো ফিরে,
    অপেক্ষার বৃষ্টি জলে ভিজবো না হয় দুজনে।

    🖋️ মোঃ হাবিবুল হক চয়ন।
    _মিরপুর,ঢাকা/২১.০৮.২০২২।

  • ইচ্ছে পূরণ অ ভি ধা নে

    ইচ্ছে পূরণ অ ভি ধা নে

    আচ্ছা
    তোমার
    ইচ্ছে পূরণ
    অ ভি ধা নে
    গুরুত্বপূর্ণ
    শব্দের
    মানে কি

    এখন
    এই মুহূর্তে
    আমার তুমি
    যে তোমার
    সামনে আছি
    একমাত্র আমি

    সব চাইতে
    গুরুত্বপূর্ণ
    শুধুমাত্র এই
    দ্বিতীয়
    কোন
    স্বত্বার
    অস্তিত্ব
    ছিলোনা
    এবং নেই

    আচ্ছা
    যদি বলি রাজ
    আরে বাবা
    গুরুত্বপূর্ণ কাজ

    যতোসব
    আবোল তাবোল
    হরদম ফাঁকিবাজ

    তবে
    এই মুহূর্তে
    যা করছি তাই
    এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নাই

  • ধানসিঁড়িটির পাড়ে

    ধানসিঁড়িটির পাড়ে

    তোমার জন্য থাকুক রংধনু সাত রং
    সেই সঙ্গে বাগান বিলাসের সবটুকু রং!
    আকাশ ভড়া নক্ষত্রের আশ্চর্য রকম সুন্দর রং
    তোমার জন্য ই থাকুক,
    সবুজ অরণ্যে রং,পাহাড় এর সব টুকরো সবুজ
    তোমার জন্য থাকুক,
    জাফরান ফুলের সবটা রংও থাকুক
    চন্দন কাঠের গন্ধ টুকুও থাকুক।

    আমার কাছে নাইবা থাকলো বসন্তের সব রং!
    নাইবা থাকলো নদীর জল রং,
    সবুজ পাহাড়ের সবুজ সবটুকু!

    আমি না হয় শুভ্র মেঘের অণু হয়েই থাকি
    একদিন তোমার খুব কাছাকাছি ই ছিলাম,
    অসময়ে ই ছিলাম তো…
    এখন তুমি আমি অচেনার মতোন
    নক্ষত্রেরা মরে যায় আকাশ বুকে
    আমি তুমি এখন মৃত নক্ষত্রের মতোন ই।

    আমাদের আর দেখা না হোক
    আমাদের আর কথা না হোক
    কুড়ি বছর কিংবা তারও পরে।
    ধানসিঁড়িটির পাড়ে।

  • বুকের ভিতর গল্প বলা নদী

    বুকের ভিতর গল্প বলা নদী

    আমার যদি থাকতো নদী,
    একান্ত এক গল্প বলা।
    বলতাম তাকে কাজের ফাঁকে,
    ছিল যত গল্প তোলা।

    দিনের শেষে নদীর পাশে,
    দাঁড়িয়ে একটুখানি।
    বলবো যত দুখ-গল্প তত,
    ঝরিয়ে চোখের পানি।

    গভীরে রাতে নদীর সাথে,
    বলবো হাজার কথা।
    নদীর জলে জোয়ার এলে,
    ধুইয়ে নেবো ব্যথা।

    রোজ সকালে হোক বিকেলে,
    নদীর সাথে দেখা।
    বেশ আলাপে মন খারাপে,
    থাকব যখন একা।

    নদীর সাথে দিন বা রাতে,
    হবে কথার বিনিময়।
    স্বপ্ন এঁকে চিরকুট লিখে,
    পাঠিয়ে দেব আমার কল্পনায়।

    এমন যদি থাকতো নদী,
    আমার বুকের ভিতর।
    নদীর বুকে স্বপ্ন সুখে,
    ভাসিয়ে দিতাম গতর।

    সাঁঝের বেলায় কল্প দোলায়,
    নদীর পাশে বসে।
    বলবো কথা সুখ কি ব্যথা,
    পরান খুলে হেসে।

    চোখের ভাঁজে বুকের মাঝে,
    এমন নদী খুঁজি।
    গল্প শেষে ঘুমের দেশে,
    যাবো দুচোখ বুজি।

    এম.জে. জান্নাতী
    ১৪/০৪/২২

  • মায়ার শেকল

    মায়ার শেকল

    আমি কি নিজেকে চিনি, না’কি চিনি’না
    মাতৃহীনা নাকি তুমিহীনা মানুষগুলো চিনি’না।
    শুনেছি কবিতা নাকি আকাশে লেখা হয়
    সাদামেঘের বিচ্ছিন্ন পালক বাতাসে ছড়িয়ে রয়,
    বিধাতা হঠাৎ নিচে এঁকে ফেলেন এক মায়া
    ঘরে খিল এঁটে লিখতে বসি
    বসন -ভূষণ -যৌবন
    পরিশেষে লিখে ফেলি একটা রুহের হীরকচূর্ণ কবিতা,,,

    হায়,,,
    একটা রুহ নীরবে মায়া নামে রোজ আত্মহত্যা করে
    রোজ ভেবে ভেবে নতুন মৃত্যু আবিস্কার করে
    কখনও এক টুকরো তুলো হয়ে আকাশে ভাসে
    কখনও পাখির ঠোঁটে আদর হয়ে গা এলিয়ে রাখে
    কখনও বা সবুজে সোহাগ মেখে বাতাসে উড়ে,
    একটা রুহ পাখি হয়ে সূর্যস্নান করে
    ফেলে রাখা পাখির পালকের বিপুল বিনাশে নিজেকে আবিষ্কার করে।

    এমন বর্ষন মুখর পিপাসিত অনুভূতি ঘনীভূত সময় ধীর পায়ে মায়া এসে
    কলম ছুঁয়ে বিচ্ছিন্ন কবির দরজা খুলে
    মহাত্ন্যের হীরকজয়ন্তী লেখায়।

    আহা আমি কি নিজেকে চিনি?
    কলম ছুঁয়ে রাত্রি ঘনায়
    এই মায়ার ভূবনে সা,রে,গা,মা দীর্ঘশ্বাস ছড়ায়,
    মাতৃপিতৃ তুমিহীনা মিথ্যে পাঠে মানুষ সব শিক্ষিত হয় ।
    সত্যি কি আমি নিজেকে চিনি, না’কি নিজেকে চিনিনা।

  • আমার নোট প্যাড

    আমার নোট প্যাড

    আমার একটা সুন্দর নোট প্যাড আছে
    আমি তাতে লিখি বা না লিখি সঙ্গী করে ই রাখি
    কখন যে দরকার পরে
    মাঝে মাঝে ভালো লাগা কিছু মুহূর্ত টুকে রাখি

    প্রকৃতির কাছে যখন যাই,ফুল লতা পাতা ঘাস
    আকাশ,,নদী,সমুদ্র অরণ্য তখন আমি নোট প্যাড এ লিখি,
    কি আশ্চর্য ,তখন নোট প্যাড আর নোট প্যাড থাকে না
    একটা গভীর সমুদ্র হয়ে যায়, একটা শান্ত নদী হয়ে যায়
    একটা ঘন জলপাই রং সবুজ অরণ্য হয়ে যায়
    মেঘ গুলো হয়ে যায় অচ্ছুৎ,
    অথচ অচ্ছুৎ, মেয়েটি হরিজন তাকে তার অন্য জাতের প্রেমিক
    তার চোঁখে র জল স্পর্শ করতে গিয়েও
    স্পর্শ করে না

    কি আশ্চর্য সেই মেয়েটির চোঁখের জল মিশে যায় বৃষ্টি র জলে
    আর সে জলে ভিজেঁ তার প্রেমিক আনন্দে, সে জানেই না
    অচ্ছুৎ চোঁখের জল গড়িয়েছে বৃষ্টি র জলে

    আর আমার নোট প্যাড এর অক্ষর গুলো হয়ে যায়
    সাদা সাদা কতগুলো হাঁস, কতগুলো সাদা সাদা বক,
    কতগুলো মাছ, কতগুলো সবুজ শ্যাওলা,
    আর জলপাই রং সবুজ গারো পাহাড়ে জুম চাষ হয়
    আমিও আদিবাসী সমাজে মিশে যাই
    রবি দাস বন্ধুদের সাথে গোল্লাছুট খেলি
    বার তীর্থ যে মেলা বসে , আমি হারিয়ে যাই আমার শৈশবে

    একটা নীল প্রজাপতি লজ্জাবতী গাছে বসে ঝিমোয়
    তাকে স্পর্শ করতে গেলে সে উধাও হয়ে যায়
    বেবুন বৃক্ষের ডালে বসে থাকে পরিযায়ী পাখিরা
    আমিও পাখি হয়ে মিশে যাই , “পাখি সব করে রব রাতি পোহালো” অবিরাম গান গাই।

    আর আমার নোট প্যাড টা অদ্ভুত রকম জড়িয়ে থাকে
    পাতা উল্টে দেখি কত পৃষ্ঠা কবিতা লিখেছি,
    আসলে পুরো প্রকৃতি ই কবিতা হয়ে যায়
    কিশোরী মেয়েটির ট্যাবু ভাঙে,
    সে মেডিকেল দোকানে খোঁজে,
    তার প্রয়োজনীয় প্যাড তার প্রথম নারী হওয়ার
    কিশোরীর চোঁখের ঝিলিক আমার কবিতা হয়ে যায় নোট প্যাড এ।

    শাহানা জেসমিন

  • আহারে জীবন

    আহারে জীবন

    কুয়োর ব্যাঙ নয়
    সামুদ্রিক
    কচ্ছপ জীবনে আছি

    সুবিশাল
    ঢেউয়ের দোলায়
    আহা সে-কি দোদুল্যময়

    দুগ্ধ সফেদ
    শুভ্র ফেনিল দূরন্ত আভায়
    বিরতিহীন
    আছড়ে পড়ি বালুকাবেলায়

    চশ্মার কাচে
    মাকড়শার জাল

    দু’চোখে
    স্বপ্নের শবদেহ

    হাতের ছোঁয়ায়
    বেদনার ক্যানভাস
    বুকের গভীরে ধ্রুপদী প্রণয়

    জীবন সায়হ্নে
    ডানাভাঙা প্রজাপতির কৃষ্ণ গ্রহন

    ঘুমাতে পারি না নির্বিঘ্নে
    আধো ঘুম আধো জাগরণে অনুভূত হয়ঃ

    আমি এক অতৃপ্ত গাঙচিল

    গা ভিজিয়ে পা ডুবিয়েও
    বিন্দুমাত্র অতিক্রান্ত হতে পারি নি
    নিরাকার সমুদ্রের গুপ্ত ভয়াল পথ পরিক্রমা
    আহারে জীবন কেনো তুই হেন প্রবঞ্চিত-যন্ত্রণাময়-ফাঁদ

  • আবর্ত

    আবর্ত

    বিনে টিকেটে চড়ে বসেছি রেলগাড়িতে,
    বগি গুলো একে একে সাজানো,
    আমাকে বয়ে নিতে দুটি চাকা সমান্তরালে দাঁড়িয়েছিল,
    চাকার শক্ত কাঁধে চড়ে আমি,
    অবাক চোখের কাছে সব নতুন লাগে।

    আমি বগি ধরে চলতে লাগলাম হামাগুড়ি দিয়ে,
    টলোমলো পায়ে পৌঁছে যাই পরের বগিতে,
    দাঁড়াতে চাইলে এগিয়ে আসে সেই দুটি চাকা।
    আমি চলতে শিখি,দৌড়াতে শিখি,
    চোখে রঙিন স্বপ্ন হয়ে ধরা দেয় ঘাসফড়িংয়েরা।
    ছুটতে গিয়ে প্রজাপতির পাখায়,
    বারেক পিছনে তাকাই,
    তখনও আমায় বয়ে নিয়ে চলেছে ঘর্ষণে ক্ষয়ে যাওয়া চাকা।

    চাকারা আমার বগি পরিবর্তনেই পুরোনো বেশ,
    প্রথম বার একটা বগি পেরুতে চাইলাম নিজের পায়ে চেপে,
    জানালা গলে দেখতে চাইলাম পৃথিবী।
    ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দে চাকা জানান দিল অজানা আশংকায় কেঁপেছে তার বুক,
    তার বাই ফোকাল চশমার আড়ালে ভাঁজ পড়া অভিজ্ঞ চোখের জল।

    আমি লাফ দিয়ে পেরিয়ে গেলাম একটা বগি,
    বগিটি ঝকঝকে, তকতকে।
    চোখে নতুন স্বপ্ন নিয়ে বাসা বুনি,
    সহযাত্রী তুলি,
    বগির চাকচিক্য রাখতে আমার জুতা জোড়া ক্ষয়প্রাপ্ত,
    চলতে চলতে পদদ্বয় ক্লান্ত।
    পিছনে ফিরতে চাইতেই দেখি আমার এক চাকা খুলে গেছে অজান্তে।
    কাত হওয়া বগির পতন ঠেকাতে আমি পা নামিয়ে দেই।

    আজকাল বগি পার হই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে,
    কাছিমের গতিতে।
    ঝকঝকে বগির রঙ চটেছে,
    সেও পা নামিয়েছে সমান্তরালে, খসে পড়েছে পুরাতন চাকাটিও।
    চাকা হয়ে আমি ফিরতে চেয়েছি,
    আমার ফেলে আসা বগিরা হারিয়ে গেছে কুজ্ঝটিকায়,
    ফেরার পথ রুদ্ধ।
    সিটি বাজিয়ে ট্রেন জানান দিচ্ছে সামনে স্টেশন।

    তাসনূভা ঝিনুক
    ১২/৮/২০২১
    সন্ধ্যা ৭ টা ৪৩ মিনিট

  • আমি সেই অবিনশ্বর!

    আমি সেই অবিনশ্বর!

    আমি তোমার সেই মন ভালো করা প্রেম, যাকে তুমি কখনো বুজতে চাওনি।
    যাকে তুমি পেতে চাওনি কখনো কোনদিন, আমি সেই ধ্রুপদী।
    আমি সেই ট্রয় নগরীর হেলেন, যাকে তুমি ট্রয়ের ধ্বংসস্তুপের উপর
    নবজন্ম দিতে চেয়েছিলে, আমি সেই নারী।
    তুমি যাকে জয়নুলের তুলিতে আকঁতে চেয়েছিলে
    আমি সেই আদিম স্বরবিন্যাস।
    আমি হতে চেয়েছিলাম রবীঠাকুরের লাবন্য
    জীবনানন্দের বনলতাসেন
    আমি কখনো হেলেন হতে চাইনি,হতে চাইনি আধুনিকতায় সজ্জিত ট্রয়ের ধ্বংসস্তূপ
    যার উপর দাড়িয়ে তুমি দীর্ঘশ্বাস ফেলো
    আমি কখনো চাই নি, ট্রয় নগরীর সৌন্দর্য বিভৎস অভিশপ্ত প্রেমের উপখ্যানের নায়িকা হতে।

    আমি চাই নি,
    তুমি দুরত্বের দহনে পুড়ে যাও।
    তুমি হাহাকার করো প্রেমের!
    তুমি আসক্ত হও ভালোবাসার!
    তুমি শরীর গন্ধে মাতাল হও!
    তুমি অপেক্ষা ভুলে যাও!
    তুমি আমার অস্তিত্বে বিলিন হও!
    শুধু চেয়েছি তোমার ব্যক্তিত্বের কাছে বার বার হারিয়ে যাই আমি।
    তুমি মহাপুরুষ হয়ে, মহাকালের শেষ ক্ষণেও ভালোবাসো
    এই আদিম শাশ্বত নারীকে!

    ~Yeasmin Ahmmed Kakoly