Author: Sabiha Khan

চমকে পিছনে ফিরে তাকালো নদী। তখন পড়ন্ত বিকেল। নদী দেখলো, ছেলেটি দাঁড়িয়ে আছে তার পিছনে। ছেলেটির গায়ে ঠিক এই রঙের একটি শার্ট ছিলো। জিন্সের প‍্যান্ট। ছেলেটি কোন ভূমিকা না করেই সরাসরি বললো, নদী আমি তোমাকে ভালোবাসি। নদী যেন কিছুই...

সন্ধ্যায় মোস্তাক অফিস থেকে এসে চা না খেয়েই প্রতিদিনের মতো বাসার সামনের খোলা মাঠটায় হেঁটে আসলো। আজ সকালে হাঁটা হয়নি। কারণ নদী ডাকেনি। নদী নামাজ পড়েই সকালে ব‍্যস্ত ছিলো রান্নাঘরে। কথা ছিলো ইমন আসবে। দুপুর পর্যন্ত একগাদা খাবার...

মিতালি চারদিন পর এসেছে মিরপুর থেকে। এসেই প্রতিদিনই কারো না কারো বাসায় যাচ্ছিলো। আজ কোথাও যাবে না মিতালি। আসার পর থেকে মার সাথে বসে কথা বলাই হচ্ছিলো না। আলো খুব মজা করে কাঁচা আমের ভর্তা করে দিয়েছে মিতালিকে। মিতালি আম ভর্তা খেতে...

শেষ পযর্ন্ত নদী এবং মোস্তাক মেনে নিয়েছিলো খোকার বিয়েটা। ঠিকই তো বলেছে খোকা। আবেগ দিয়ে তো জীবন চলে না। শুধু বিয়েটা দেশে নিতে অনুরোধ করেছিলো দিপ্তীর বাবা মাকে। উনারা কথা দিয়েছিলেন তাই হবে। কিন্তু কবে আসবে, কিভাবে কি হবে কিছুই...

নদী তাড়াতাড়ি বললো, কি করেছে তোর ভাবী? বউমা তো অত্যন্ত লক্ষী মেয়ে। মিতালি মুখ বাঁকিয়ে বললো, কতো লক্ষী বউমা তোমার, তা আমি জানি মা। তুমি সবসময়ই আমার কাছে অনেক কিছু লুকাও। ভাইয়াই আমাকে একটু বলেছে আর বাকীটা আমি নিজেই বুঝতে পেরেছি।...